দিল্লির বহুতলে আগুন, হত ৩০
-
গণশক্তির প্রতিবেদন
- May 14, 2022 09:15 [IST]
- Last Update: May 14, 2022 09:15 [IST]
দিল্লিতে বহুতলে ভয়াবহ আগুনে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পশ্চিম দিল্লিতে মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি বাণিজ্যিক ভবনে শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারতলা বাড়িটিতে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে অনেকই ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। এছাড়াও অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন ৪০ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে পর থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁরাও আহত হয়েছেন। আগুন ও ধোঁয়ার জেরে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত একটি তলায় পৌঁছাতে পারেননি দমকল কর্মীরা। ওই তলাটিতে অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই বাড়িটিতে বেশ কয়কটি অফিস রয়েছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এদিন বিকাল ৪টা ৪০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য তলাগুলিতে। গোটা বাড়িটি নিমেষে চলে যায় ভয়াল আগুনের গ্রাসে। ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ঢেকে যায় আশপাশ। খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ২০টি ইঞ্জিন সহ দমকলের বিশাল বাহিনী। পুলিশের বিশাল বাহিনীও গোটা অঞ্চলটিকে ঘিরে ফেলে। চলে আসে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। হতাহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। আগুন আয়ত্তে আনতে দমকল কর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও গভীর রাতে পর্যন্ত তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আগুন ও ধোঁয়ার মধ্যে আটকে থাকা অন্তত ৬০-৭০ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছেন দমকল কর্মীরা। তাঁরা জানলারা কাচ ভেঙে ঢুকতে সক্ষম হন। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সমীর শর্মা জানিয়েছেন, আগ্নিদগ্ধ বাড়িটির বিভিন্ন তলায় বেশ কয়েকটি অফিসকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। এখনও আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দোতলায় একটি সিসিটিভি এবং ওয়াইফাই’র রাউটার তৈরির কারকাখান ছিল। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। সেই সংস্থার মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাড়িটিতে এতগুলি অফিস থাকলেও কোনও দাহ্য পদার্থ মজুত করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও বহুতল ভবনটিতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা সঠিকভাবে ছিল কিনা তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়ির মালিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে রোহতক রোডে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সতর্কতা হিসাবে আশেপাশের বাড়ি থেকেও বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের করে নিরাপদ জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।