ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
-
গণশক্তির প্রতিবেদন
- May 14, 2022 19:46 [IST]
- Last Update: May 14, 2022 19:46 [IST]
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের আচোমকা ইস্তফাকে কেন্দ্র করে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল জাতীয় রাজনীতিতে। এবার বিপ্লব দেবের পদত্যাগের পর তার জায়গায় ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মানিক সাহা। মানিক সাহা গত মাসে ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাছাড়া তিনি ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
রাজ্যপাল এসএন আর্যের কাছে ইস্তফা জমা দেওয়ার পর বিপ্লব দেব জানিয়েছিলেন যে তিনি দলের সাঙ্গঠনিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন। বিপ্লব দেবের এই ইচ্ছা মতো এখনও পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে তাকে কোন দায়িত্ব হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন যে, ‘‘দল আমার কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দলের একজন একনিষ্ট কর্মী হিসাবে আমি আমার কাজ চালিয়ে যাব। আমি মনে করি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব হোক বা দলীয় সভাপতির দায়িত্ব যা দলের পক্ষ থেকে আমায় দেওয়া হয়েছে তা আমি সঠিক ভাবে পালন করতে পেরেছি।’’
প্রসঙ্গত রাজনৈতিক মহলের মতে ত্রিপুরায় বিজেপি শাসনকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মনে যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা কিছুটা বুঝতে পেরেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে দল। নতুন ত্রিপুরা তৈরি করার কথা যা বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছিল তা মিথ্যায় পরিনত হয়েছে। এই বিপ্লব দেবের শাসনেই কয়েক গুন পিছিয়ে পড়েছে ত্রিপুরা। বিজেপি শাসনে ত্রিপুরায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বৃকারত্বের হার। নতুন কর্মসংস্থাবের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বিপ্লব দেবের সরকার।
উন্নয়ন নয়, গত চার বছরে বিরোধী শুন্য ত্রিপুরা তৈরি করার দিকে এগিয়েছিল বিজেপি সরকার। আর তাই প্রতিনিয়ত খুন হতে হয়েছে বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের। পার্টি অফিসে ভাঙচুর থেকে শুরু করে সিপিআই(এম) কর্মীদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা ত্রিপুরা।
তাছাড়া প্রথম থেকেই বিপ্লব দেবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়াকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষের ছবি উঠে এসেছে।