শিশুদের দুধে জল উত্তর প্রদেশে
-
সংবাদ সংস্থা
- Nov 30, 2019 12:45 [IST]
- Last Update: Nov 30, 2019 03:00 [IST]
সোনভদ্র, ২৯ নভেম্বর— দুধে জল নয়, জলে দুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে শিশুদের ! যোগী-রাজ্যের মিড ডে মিল প্রকল্পের দুর্নীতি ফের প্রকাশ্যে এল। এবারও একজন শিক্ষককে বরখাস্ত করে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছে সরকার।
সোনভদ্রের চোপান ব্লকের এক সরকারি স্কুলে এক লিটার দুধ বরাদ্দ করা হয়েছে ৮১জন শিশুর জন্য। বাকি দুধের প্যাকেট কোথায় তার কোনও হদিশ নেই। ফলে এক বালতি জলে সেই এক লিটার দুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হলো ছেলেমেয়েদের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে ওই স্কুলের এক শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু দুর্নীতি রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা।
বুধবার সোস্যাল মিডিয়ায় এই স্কুলের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। দেখা যায়, এক বালতি গরম জলে এক লিটার দুধ মেশাচ্ছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনি। তারপরই সেই দুধ খাওয়ানো হচ্ছে শিশুদের। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। পরে আর একটি ভিডিও’তে দেখা গিয়েছে, ওই রাঁধুনি স্বীকার করে নিচ্ছেন, তিনি জলে দুধ মিশিয়ে খাইয়েছেন ছেলেমেয়েদের। ফলে আরও অস্বস্তিতে পড়েছে যোগীর সরকার। পর্যাপ্ত দুধ থাকা সত্ত্বেও শিশুদের জন্য এক লিটার দুধ কেন বরাদ্দ করা হয়েছে, সেই প্রশ্নও উঠেছে। শিশুদের পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য এই প্রকল্প চালু হলেও বাস্তবে সরকারের দুর্নীতির জেরে ছেলেমেয়েরা ন্যূনতম পুষ্টিযুক্ত খাওয়ারও পাচ্ছে না। অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব বিজেপি’র কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘বিজেপি শুধু চটকদারিতেই বিশ্বাসী।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয়কুমার লালু ট্যুইট করেন, ‘‘সম্প্রতি কেন্দ্রেরই একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, মিড ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতিতে এগিয়ে আছে বিজেপি। সোনভদ্রের ঘটনা সেই পরিসংখ্যানের প্রমাণ দিল। মুখ্যমন্ত্রী অনেক লম্বা চওড়া কথা বলতে পারেন। কিন্তু সরকার পরিচালনা করতে তিনি ব্যর্থ। গোটা প্রশাসনই দুর্নীতিগ্রস্ত।’’
মাস দুয়েক আগেই মির্জাপুরের সিউর প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও এমনই একটি দুঃখজনক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়ায়। রুটি আর নুন খাওয়ানো হচ্ছিল শিশুদের। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিবকে নোটিস দিলে দু’জন শিক্ষককে বরখাস্ত করে দেয় সরকার। কিন্তু দুর্নীতি রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার জেরেই রাজ্যের অন্যান্য সরকারি স্কুলগুলিতেও কমেনি দুর্নীতি, বরং বেড়েছে।