শ্রমিক মেলায় পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল
-
গণশক্তির প্রতিবেদন
- Jan 11, 2021 21:46 [IST]
- Last Update: Jan 11, 2021 21:46 [IST]
রাজ্যে স্বেচ্ছাচার বন্ধ করতে গেলে সরকারের থেকে টেনে নামাতে হবে তৃণমূলকে। পশ্চিম বাংলার তৃণমূল সরকার এবং ত্রিপুরার বিজেপি সরকার একই ভাবে স্বেচ্ছাচার , লুটপাট ও গণতন্ত্র হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। বাম গণতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তির বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখার্জি সোমবার ঘোলা থানার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন। রবিবার মুড়াগাছা মোড়ের কাছে রাজ্য সরকারের প্রহসনের শ্রমিক মেলার প্রতিবাদে নির্মাণ শ্রমিকদের জমায়েতের উপর দলদাস পুলিশের লাঠি চার্জের বিরুদ্ধে ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি বক্তব্য রাখেন। এদিন সিআইটিইউ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আহ্বানে সমাবেশটি হয়।

সুভাষ মুখার্জি ছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নেপাল দেব ভট্টাচার্য , গার্গী চ্যাটার্জি , আহমেদ আলি খান , দুলাল চক্রবর্তী , জহর ঘোষাল , শুভব্রত চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন নেপাল দেব ভট্টাচার্য। সমাবেশে ছিলেন নির্মাণ কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক প্রণব মজুমদার ও সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নেপাল দেব ভট্টাচার্য সমাবেশে বলেন , আক্রমণ যতই বাড়বে প্রতিবাদী মানুষের সমাবেশ ততই বেড়ে চলবে। অর্জিত অধিকার আদায়ের সংগ্রাম তীব্র আকার নেবে। গার্গী চ্যাটার্জি বলেন পুলিশের আক্রমণ সত্ত্বেও হিসাব দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ থামবেনা। জেলার যেসব মহকুমাতে তথাকথিত শ্রমিক মেলা বাকি আছে বিক্ষোভ হবে সেখানেও। লাঠি চালানোর তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, শ্রমিকদের অর্থের হিসাব মমতা ব্যানার্জিকে দিতেই হবে।
সমাবেশের পরে একটি মিছিল ঘোলা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পর ঘোলা বাসস্ট্যান্ডের সামনে এসে শেষ হয়। রবিবার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে জখম শ্রমিকরা ছাড়াও সোমবার জামিন পেয়েই সমাবেশে এসেছিলেন রবিবার পুলিশি জুলুমে আটক হওয়া , বিলকান্দা এবং নৈহাটি বীজপুর গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক সংগঠক যথাক্রমে কৌশিক দাস ও সুমন চক্রবর্তী , জখম পা নিয়েই সমাবেশে হাজির ছিলেন সংগঠনের অন্যতম জেলা নেতা মলয় চৌধুরি ।
এদিনের সব বক্তার কথায় ও সমাবেশের মেজাজ ঘোষণা করে, অত্যাচার জুলুমের সবকিছু মনে রাখা হবে। অর্জিত অধিকার আদায়ের জন্য হটাতে হবে বিজেপি-তৃণমূল সরকারকে।