অর্থনীতির অধোগতি আম্বানির ঊর্ধ্বগতি
-
-
- Nov 30, 2019 12:47 [IST]
- Last Update: Nov 30, 2019 03:00 [IST]
নয়াদিল্লি, ২৯ নভেম্বর- দেশের অর্থনীতির হাল যাই হোক, মুকেশ আম্বানির হাল ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। ফোর্বস তালিকায় বিশ্বের ধনীদের তালিকায় নবম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। এ বছরের শুরুর দিকে ফোর্বস তালিকায় ১৩তম স্থানে ছিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রধান। ওপরে উঠেছেন ‘রিয়েল টাইম বিলিওনেয়ার’ তালিকায়। রিলায়েন্সের বাজারে মূলধনের পরিমাণ ১০লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এইভাবে উঠে আসা। বৃহস্পতিবারই রিলায়েন্সের মূলধনের মূল্য ওই সীমা ছাড়িয়েছে। ভারতে কোনও সংস্থার পক্ষে তা নজিরবিহীন। ফোর্বসের হিসাব আম্বানির নেট মূল্য ৬০৮ কোটি ডলার। আম্বানির সম্পদের পরিমাণ এই সময়পর্বে বেড়েছে ৭০লক্ষ ডলারের বেশি। অথচ এই সময়পর্বে লাগাতার কমেছে শিল্পোৎপাদন, ক্রয়ক্ষমতা, ভোগ্যপণ্যের ব্যয়। দারুণ ভাবে কমেছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির হারও। সামগ্রিক অধোগতির মধ্যে ঊর্ধ্বগতি মুকেশ আম্বানির।
এমনিতেই দু’মাস আগেই এক রিপোর্টে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে বিত্তশালী ২৫ জনের হাতে চলে গেছে দেশের মোট সম্পদের ১০শতাংশ। হুরুন ইন্ডিয়া রিপোর্ট, ২০১৯-এ দেখা গেছে ৯৫৩ জনের হাতে রয়েছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২৭ শতাংশ। সেই রিপোর্টেও ধনী তালিকার শীর্ষে অবশ্যই মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যানের মোট সম্পদ ৩,৮০,৭০০কোটি টাকার।
অন্য একটি রিপোর্টে এ বছরের গোড়ার দিকের হিসাবে বলা হয়েছিল, দেশের সবচেয়ে বিত্তশালী ১শতাংশের হাতে দেশের সম্পদের ৫১.৫৩শতাংশের মালিকানা। ওপরের ১০শতাংশের হাতে ৭৭.৪শতাংশ সম্পদ। অন্যদিকে, জনসংখ্যার নিচের ৬০শতাংশের হাতে জাতীয় সম্পদের মাত্র ৪.৮শতাংশ রয়েছে। এই ৬০শতাংশের মধ্যেই রয়েছেন দেশের কৃষক, শ্রমিক, অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষ। উৎপাদন করেন যাঁরা, তাঁদের হাতে জাতীয় সম্পদের সামান্য অংশই। সেই রিপোর্ট ছিল অক্সফ্যামের।
জনকল্যাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ যা তার থেকে বেশি সম্পদ কয়েকজন অতি ধনীর। হিসাব বলছে, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য, নিকাশি, জল সরবরাহের মোট রাজস্ব ও মূলধনী বরাদ্দ মুকেশ আম্বানির একারই সম্পদ থেকে কম।