নির্বাচনে মুখে অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য অশোক ভট্টাচার্যের
-
গণশক্তির প্রতিবেদন
- Jan 12, 2021 16:07 [IST]
- Last Update: Jan 12, 2021 16:07 [IST]
নির্বাচন আসলেই মুখ্যমন্ত্রীর জমির পাট্টা প্রদানের কথা মনে পডে। অথচ গত দশ বছর ধরে ছ’শো একচল্লিশটি পাট্টা আটকে রেখেছে রাজ্য সরকার। শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের নিজস্ব জমিতে একশো সতেরোজনকে লিজ ডিড দিতে চাইলে সেখানেই বাধা রাজ্য সরকারের। নির্বাচন আসন্ন তাই সক্রিয়তা দেখাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, বললেন শিলিগুড়ির পৌর প্রশাসক ও বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য।
যে সমস্ত উদ্বাস্তু এবং অউদ্বাস্তু পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ও ভেস্ট জমিতে বসবাস করে আসছে অথচ এই পরিবারগুলোর জমির কোন সত্তা নেই। শিলিগুড়ির চুয়াল্লিশ নম্বর ওয়ার্ডে কর্পোরেশনের নিজস্ব একটি জমিতে একশো সতেরোজন প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে বসবাস করছে। এই জমিটির বর্তমান মূল্য কয়েক কোটি টাকা। বামফ্রন্টের বোর্ড এক টাকার বিনিময়ে লিজ ডিড দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে বাধা দিয়ে বলা হয় তাদের কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া কাউকে লিজ ডিড দেওয়া যাবে না। বহু চেষ্টার পর সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে সেই অনুমতি পায় কর্পোরেশন।
একটি বিবৃতি পেশ করে অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন । বুঝতে পারা যায় কিছু টেলিভিশন চ্যানেলের প্যানেল ডিসকাশন আর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আর তাঁর মন্ত্রী সভার কিছু সদস্যের হঠাৎ করে কিছু সক্রিয়তা থেকে, কিছু মিডিয়া আবার এমন কিছু মুখ কে সামনে আনছে যারা মানুষের চোখে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেছেন, যেমন দুয়ারে সরকার বা পাড়ার সমস্যা পাড়ায় সমাধান! তা এনারা এতদিন কোথায় ছিলেন? ভোট আসছে বলে দুয়ারের কথা মনে পড়লো? পঞ্চায়েত আর পৌরসভাই তো স্থানীয় সরকার, এই সংস্থা গুলিকে সক্রিয় করলেই সরকার মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে। জ্যোতি বসু যেভাবে বলেছিলেন, রাজ্য শাসিত হবে কলকাতা থেকে নয়, গ্রামে গ্রামে শহরে শহরে। আর বর্তমান রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত আর পৌরসভা গুলিকে অচল করে এদের ক্ষমতা হীন করে দিয়েছে ।এ ভাবে কখনো মানুষের কাছে সরকার পৌঁছাতে পারেনা।
শিলিগুড়ির বিধায়ক ও পৌর প্রশাসক আরো বলেছেন, উত্তরবঙ্গের একজন মন্ত্রী শিলিগুড়ি নিয়ে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন! অথচ শিলিগুড়ির প্রতি গত পাঁচ বছরের সমস্ত বঞ্চনা আর বৈষম্যের নেতৃত্ব তিনিই দিয়ে এসেছেন। গত দশ বছরে তাঁর শিলিগুড়ির যান জটের সমস্যার কথা মনে পড়েনি। এখন পডতে শুরু করেছে, ভোট আসছে বলে। মাল্লাগুড়ি ফ্লাই ওভার নিয়ে অনেক পরিকল্পনার কথা শুনে এসেছি। কাজের কাজ কিছুই করেনি রাজ্য বা কেন্দ্রের সরকার। এখন বলছে বেলি ব্রিজের কথা! দুধের স্বাদ ঘোলে মেটেনা। সবাই জানে হঠাৎ দেখছি তাঁকে টোটো নিয়ে সক্রিয় হতে। টোটো নিয়ে কত প্রতিশ্রুতিই এই মন্ত্রী রা দিয়ে ছিলেন! এসব কোথায় গেলো? ই-রিকশা কোথায় গেলো। এদের লাইসেন্স দেবার নামে কত টাকার লেন দেন হয়েছে? এসবের সাথে কারা যুক্ত? ভোট আসছে তাই টোটো নিয়ে সক্রিয়তা। এতো দিন কোথায় ছিলেন? আর কিছু সংবাদ মাধ্যম জেনে বুঝেই এসবের প্রচার করছে।
মানুষ এইসব চালাকির রাজনীতি ভালোই বোঝেন। আজ বিবেকানন্দর জন্মদিন। তিনি বলেছেন চালাকির দ্বারা মহৎ কাজ হয়না! বলেন অশোক ভট্টাচার্য।