আত্মসাৎ করা টাকা ফেরতের দাবি গ্রামবাসীদের
-
গণশক্তির প্রতিবেদন
- Aug 10, 2019 21:09 [IST]
- Last Update: Aug 10, 2019 21:09 [IST]
প্রকল্পের কাজ না করে এক তৃণমূল
নেতার আত্মসাৎ করা সরকারি তহবিলের প্রায় আট লক্ষ টাকা ফেরতের দাবি তুললেন
গ্রামবাসীরা। এই দাবির সপক্ষে তারা ইতিমধ্যেই ‘দিদিকে বলো’ হোয়্যাটসঅ্যাপে অভিযোগ
পাঠিয়েছেন। ৭১জন গ্রামবাসীর স্বাক্ষর করা এই অভিযোগপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে
বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকের কাছেও। পাশাপাশি
এলাকায় ওই তৃণমূল নেতার নামে
পোস্টারও লাগানো হয়েছে। ঘটনাটি মন্তেশ্বর থানার জামনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মরাইপিড়ি
গ্রামের।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য, বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সৌরভ ঘোষ বিভিন্ন সরকারি
প্রকল্পের কাজ না করেই প্রায় আট লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ওই টাকা ফেরত দিতেই
হবে। যে প্রকল্প থেকে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে সেগুলি হলো, মরাইপিড়ি গ্রামের আদিবাসী পাড়া থেকে বারোয়ারিতলা পর্যন্ত
ঢালাই রাস্তা ও পাকা ড্রেন নির্মাণ।
প্রকল্পে বরাদ্দ ২৪ লক্ষ ৪ হাজার ১১৪ টাকা। এই কাজের জন্য টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে
গত ২০-৪-১৭ তারিখে। ওই কাজে পাকা ড্রেন ও ১০০ দিনের কোনও কাজ না হওয়া সত্ত্বেও
মাস্টাররোলে ১০৮৮ জন লেবারের মজুরি তোলা হয়েছে। নদীপার ভাঙন প্রতিরোধক ভ্যাটিভার
ঘাসের নার্সারি বাবদ বরাদ্দ ২ লক্ষ ৪ হাজার ৮ টাকা। এই কাজের টাকা তুলে নেওয়া হয়
গত ২০-৪-১৭ তারিখে। অথচ এই প্রকল্পের কোনও কাজ না হওয়া সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজে ৫০
জন মজুরের মজুরি তুলে নেওয়া হয়। মরাইপিড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে কৃষি মাঠ পর্যন্ত জল নিকাশি নালায় বরাদ্দ ১
লক্ষ ৯ হাজার ২৫৩ টাকা তুলে নেওয়া হয় গত ৩১-১-১৮ তারিখে। এই প্রকল্পে কোনও কাজ না
হওয়া সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজে মাস্টাররোলে ১০৪৬ জন মজুরের মজুরি তুলে নেওয়া হয়।
গ্রামের রিভারপাম্প থেকে সার্থক মণ্ডলের
বাড়ি পর্যন্ত মোরাম রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ ২ লক্ষ ২ হাজার ১৪১ টাকা। এই টাকা তুলে নেওয়া
হয়েছে গত ১৮-৫-১৮ তারিখে। মাত্র ৮৫০ জন লেবারকে কাজ করানো হলেও ১০০ দিনের কাজে
মাস্টাররোলের মাধ্যমে ১০৮৮ জন মজুরের মজুরি তোলা হয়েছে। গ্রামের বাবুইগরের পাড়
থেকে নদী পর্যন্ত মোরাম রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ ৪ লক্ষ ৪ হাজার ৭৪৬ টাকা তুলে
নেওয়া হয়েছে গত ২৮-৬-১৮ তারিখে। এই কাজে
৭৫০ জন মজুরকে কাজে লাগানো হলেও ২২৮৮ জন
মজুরের মজুরি তোলা হয়েছে। গ্রামের খেলার
মাঠ সংস্কারে বরাদ্দ ৮ লক্ষ ১৪৮ টাকা। এই কাজে এক হাজার জন মজুরকে কাজে লাগানো
হলেও প্রথম দফায় গত ২৪-৪-১৯ তারিখে ১২৯২ জন মজুরের মজুরি তোলা হয়েছে।