বিশ্বভারতীতে এবার সাসপেন্ড দুই ছাত্র
-
-
- Jan 15, 2021 11:28 [IST]
- Last Update: Jan 15, 2021 11:28 [IST]
এবার কোপ ছাত্রদের উপরেও। উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে পথে নামায় বিশ্বভারতীতে এবার শাস্তির খাঁড়া দুই ছাত্রনেতার উপর। বৃহস্পতিবার এক নির্দেশ জারি করে এসএফআই নেতা সোমনাথ সৌ ও অপর ছাত্রনেতা ফাল্গুনি পানকে সাসপেন্ড করল বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর নির্দেশে এবার স্বাক্ষর প্রোক্টরের। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন পড়ুয়ারা। ফি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে হোস্টেল থেকে পড়ুয়া তাড়ানো, বাইক বাহিনী দিয়ে ওষুধ দেওয়ার নিদান থেকে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে দিয়ে সিএএ’র সপক্ষে ভাষণ দেওয়ানোর বিরোধিতায় তীব্র আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সর্বশেষ অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের সাসপেন্ডও মেনে নিতে পারেননি পড়ুয়ায়ারা। অর্থনীতি বিভাগের এই অধ্যাপকের বিভাগীয় ঘরটি ‘সিল’ করে দেওয়া হলে ঘর খোলার জন্য বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। ৯জানুয়ারি মমতা ব্যানার্জির কেড়ে নেওয়া শান্তিনিকেতনের অভ্যন্তরের রাস্তা ফেরত পেতে ছাতিমতলায় মৌন অবস্থানে বসেছিলেন উপাচার্য। সেই মৌন অবস্থানের সময় ছাতিমতলার বাইরে চরম ধিক্কার ব্যক্ত করেন পড়ুয়ারা। নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রনেতা সোমনাথ সো, ফাল্গুনি পান। বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্র ঐক্যের নেতা সোমনাথ সৌ ও ফাল্গুনি পানকে ইমেল মারফত সাসপেনশনের চিঠি পাঠান বিশ্বভারতীর প্রোক্টর সমীর মজুমদার। সোমনাথ সৌ বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক স্তরের ছাত্র, এবং বর্তমানে এসএফআই’র বিশ্বভারতী ইউনিটের নেতা। অপর ছাত্র ফাল্গুনি পান অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র। উল্লেখ্য, বর্তমান উপাচার্যের আমলে একাধিক ইস্যুতে তারা আন্দোলনে সোচ্চার হয়েছে। ফলে বর্তমান কর্তৃপক্ষের কুনজরে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। এবার তাদের উপর কোপ পড়ল বলে মনে করছে ছাত্র ঐক্যের নেতৃত্ব। গত ৭ তারিখ বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী। ঘটনার তদন্তের নামে ওই ডিপার্টমেন্টের সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের ঘরটি সিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্র ঐক্যের অভিযোগ ছিল, ছাত্রদের প্রয়োজনে তাদের ডিপার্টমেন্টের ঘরের সিল খুলে দিতে হবে। সেই দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র নেতারা। এদিন প্রোক্টরের পাঠানো চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৯ তারিখ বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের ঘরটির সিল খুলে দেওয়া হয়। এই কাজে যুক্ত থাকার কারণে তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ ঐ সিল খোলার ফলে ব্যাহত হচ্ছে তদন্তের কাজ। এছাড়াও অভিযোগ করা হয়েছে, ঐ সিল খোলার ফলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে।
ছাত্রনেতা সোমনাথ সৌ বলেন, ‘‘রাতে ইমেল মারফত আমাদের সাসপেন্ড করার চিঠি পেলাম। আমরা সাংগঠনিকভাবে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো।’’ বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নির্দেশে পরিষ্কার বলা হয়েছে, তদন্ত শেষ হওয়া বা তিনমাস যেটা আগে সম্পুর্ণ হবে তার আগে বিভাগ, ভবন, ল্যাবোরেটরি, গ্রন্থাগারে বরখাস্ত ছাত্ররা প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না।