মিনাখাঁয় গুলি চলার ঘটনায় এলাকায় পুলিশ পিকেট
-
গণশক্তির প্রতিবেদন
- Aug 06, 2022 16:03 [IST]
- Last Update: Aug 06, 2022 16:03 [IST]
শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় ভিড়ে ঠাসা বাজারে চললো গুলি। হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ঘটনার পর থেকে রীতিমতো আতঙ্কিত তারা। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না করলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নামবেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গুলি চলে নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। এলাকায় রয়েছে পুলিশ পিকেট। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে মিনাখাঁ থানার বাবুরহাট বাজারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মিনাখাঁ থানার খড়িবেড়িয়া এলাকায় পুরানো শত্রুতার জেরেই ঘটেছে গুলি চালানোর ঘটনাটি। দুই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। অল্পের জোরে প্রাণে বাঁচেন দুই ব্যবসায়ী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাজারের সাধারণ ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় মিনাখাঁর বাবুরহাট বাজারে একটি মুদিখানা দোকানে বসেছিলেন গোলাম রব্বানী মোল্লা, মফিজুল মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। সেই সময় আচমকা তমজিত মোল্লা, ইমরান মোল্লা, আকবর মোল্লা, অলি গাজী সহ বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে গোলাম রব্বানী মোল্লা ও মফিজুল মোল্লাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি তাদের কাছে থাকা প্রায় বারো হাজার টাকা ও একটি সোনার হার ছিনিয়ে নেয় ইমরান মোল্লা ও তামজীদ মোল্লা এমনটাই অভিযোগ মফিজুল মোল্লার। মারধর চলাকালীন হঠাৎ তারা গোলাম রব্বানী মোল্লা ও মফিজুল মোল্লাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যায় তারা। এই ঘটনার পর বাবুরহাট বাজারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্রেতা বিক্রেতারা।শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বাজারে তেমন লোকজন নেই। ভর সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের এই দাপাদাপিতে এবং গুলি চালানোর ঘটনায় ক্রেতা বিক্রেতারা বাজারে আসতে ভয় পাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে। ঘটনার বিবরণ জানিয়ে মফিজুল মোল্লা মিনাখাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেই তদন্তে নেমে মিনাখাঁ থানার পুলিশ ফারুক হোসেন গাজী, ইমরান মোল্লা, আকবর আলী মোল্লা সহ চারজনকে গ্রেফতার করে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে পাঠায়। পাশাপাশি এই ঘটনার মূল অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন বাজার কমিটির কর্মকর্তারা। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার না করলে ও তাদের উপযুক্ত সাজার ব্যবস্থা না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয়েছে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে। এই প্রসঙ্গে মফিজুল মোল্লা জানান,'শুক্রবার সন্ধ্যা বেলায় বাজারে বসে ব্যবসায়িক আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ তামজিত, ইমরান, আকবররা এসে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমরা অল্পের জন্য বেঁচে যাই। আমাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও সোনার হার ওরা ছিনিয়ে নেয়। ওরা গত কয়েক বছর আগে এইরকম ভাবে এই বাজারে গুলি চালিয়েছিল।ফের এইরকম ঘটনা ঘটায় আমরা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। এই ঘটনা নিয়ে বাবুরহাট বাজারের বাজার কমিটির সভাপতি মহম্মদ সাইফুদ্দিন গাজী বলেন,ইমরান, আকবর এরা বড় বড় দুষ্কৃতী। এর আগেও এই বাজারে এইরকম ভাবে গুলি চালিয়েছিল।ফের এইরকম ঘটনা ঘটায় আমরা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।সকাল থেকে বাজারে ক্রেতারা আসতে ভয় পাচ্ছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে জানিয়েছি। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আমরা রাস্তা অবরোধ থেকে শুরু করে বড় আন্দোলনে নামবো। তবে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে বাজারে একটা মারামারি হয়েছে। গুলি চালানো হয়নি। ঘটনায় চার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজারে যাতে আর কো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য শনিবার সকাল থেকেই বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।