জাল স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে কারা টাকা লুটের চেষ্টা
-
গণশক্তির প্রতিবেদন
- Aug 06, 2022 16:01 [IST]
- Last Update: Aug 06, 2022 16:01 [IST]
আমাদের সকলের প্রিয় রাজ্যে জাল, ভুয়ো কাটমানির দুর্গ বলে বলে পরিচিত। প্রতিদিন এ ধরণের খবরে মশগুল থাকে। এবার সামনে এল জাল টেন্ডার নোটিশের খবর ফেক স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ উঠতেই মালদহের মহকুমা শাসক (সদর) ওই ফেক টেন্ডার নোটিশ বাতিল করে নূতন টেন্ডার ডাকার আদেশ সাথে সাথে তদন্তের নির্দেশ দিলেও এখনও পর্যন্ত অপরাধীদের চিহ্নিত করে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার খবর পাওয়া যায় নি।
কালিয়াচক-৩ ব্লকের অন্তর্গত পারদেওনাপুর শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সঞ্চালক মহঃ সাবির আলি একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহকুমাশাসক (সদর) এর কাছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪টি টেন্ডার নোটিশ বাতিল করার আবেদন জানিয়ে। বলা হয় ওই টেন্ডারগুলি ষ্টেকহোল্ডারদের না জানিয়ে অবৈধভাবে ডাকা হয়েছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক-৩ ব্লকের বিডিও বিষয়টি তদন্ত করে গত ১০-৬-২০২২ তারিখে মহকুমাশাসককে একটি রিপোর্ট জমা দেন। মেমো নং ১৪৩০।
এরপর গত ২৩/৬/২০২২ উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। ওই সময় অভিযোগকারী তার বক্তব্যের সমর্থনে দৈনিক উত্তরবঙ্গের পেপার কাটিং জমা দেন যেখানে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের টেন্ডার নোটিশ নং ০১/২০২২-২০২৩ এবং অন্য তিনটি এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের কাজের বিজ্ঞপ্তি ২৩/৫/২০২২ প্রকাশিত হয়েছিল।
একই সাথে অভিযোগকারী মহকুমাশাসক (সদর) এর কাছে টেন্ডার নোটিশের কপি পেশ করেন যেখানে জাল(ফেক) স্বাক্ষর ও সীল রয়েছে। এবং একই সাথে মালদহের ডিপিএন্ডআরডিও-র অফিসের রিসিপট কপিও জমা দেওয়া হয় যার সিল ও স্বাক্ষর জাল অর্থাৎ ফেক, তা ডিপিএন্ডআরডিও স্বীকার করেছেন, যা তার অফিসের মেমো নং ৮৮৬/পি তারিখ ২৪/৬/২০২২। এরপর মহকুমাশাসক (সদর) প্রধান, পারদেওনাপুর শোভাপুরকে নির্দেশ দেন নূতন করে ওই টেন্ডার ডাকার জন্য। একই সঙ্গে তিনি বিডিও, কালিয়াচক-৩ কে নির্দেশ দেন এই জাল সীল ও স্বাক্ষর নিয়ে তদন্ত করে যে বা যারা অর্থাৎ কর্মীরা এর সাথে যুক্ত তাদের চিহ্নিত করতে।
রাজ্যের সাথে জেলায় কার্যত দুর্নীতির গভীর সমুদ্র। পারদেওনাপুর শোভাপুরের এই উদাহরণ দুর্নীতির একটা ছোট বিন্দু মাত্র। এখনও পর্যন্ত এই জাল স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে কারা টাকা লুটের চেষ্টা করেছিল তাদের চিহ্নিত করা যায় নি। এসব বিষয়ে আগে তদন্ত করতে রাজ্যে আসত ক্যাগ, কেন্দ্রীয় সংস্থা। যাকে এখন দূরবীন দিয়েও দেখা যায় না। আর রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের তদন্তে এসেছে এক কেন্দ্রীয় সংস্থা যারা মালদহে এখনো আসে নি। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন রাজ্যে কি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় এটা একমাত্র উদাহরণ।নাকি এরকম হাজার ফেক বা জাল সীল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে পঞ্চায়েত, পৌরসভা ও সরকার চলছে। প্রশ্ন এটাই।