রান্নাঘর থেকে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভুত হয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদার রেললাইন সংলগ্ন বস্তির একাধিক ঘর। সেই সময় অন্যরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে সমর্থ হলেও আগুনের লেলিহান শিখায় জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হল বাবা ও মেয়ের।
মৃতদের নাম গোকুল কর ও তাঁর মেয়ে মলিনা কর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। উদ্ধার কাজে নামে কোলাঘাট থানার পুলিশও। পরে মৃতদেহদুটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ বস্তির এক মহিলা রান্না করে কাজে বেরানোর তোড়জোড় করছিল। সেই সময়ই তাঁর রান্নাঘরে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বস্তির অন্য ঘরগুলিতেও।
চিৎকার চেঁচামেচিতে অন্যরা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও অসুস্থ গোকুল বাড়িতেই আটকে পড়েন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়েও। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে বাবা ও মেয়ের পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করে কোলাঘাট থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক মহিলা রান্না করে বাইরে যায়। সেই সময় তাঁর উনুন থেকেই গোটা ঘরে আগুন ধরে যায়। বাতাসে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের বস্তিতে। ওই সময় বাবা ও মেয়ে বাড়ি থেকে বেরতে পারেননি। তাঁরা বাড়ির মধ্যেই পুড়ে মারা গিয়েছেন।
কোলাঘাট থানার ওসি ইমরান মোল্লা জানিয়েছেন, “মেছেদা রেল ব্রিজের কাছে বস্তির প্রায় ১৫টি ঘর আগুনে পুড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগাই। ইতিমধ্যে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে আর কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।"
এদিকে এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ স্ট্রীট ভেন্ডার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয় শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও'র কাছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন চিত্ত খান, বাসুদেব গায়েন, স্নেহাশীষ ঘড়া সহ অন্যান্যরা। পুড়ে যাওয়া বস্তি গুলির অধিবাসীদের স্থায়ী পুনর্বাসন, মৃত দুজনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা সহ একাধিক দাবি জানানো হয়েছে।
Comments :0