প্রতীম দে
গায়ে লাল গেঞ্জি, হাতে ধরা মশাল। গড়িয়া থেকে যাদবপুরের রাস্তায় আলোর পথযাত্রীরা। ডিওয়াইএফআই’র রাস্তা ছেয়ে দেওয়া ব্যানার। ৭ জানুয়ারির ব্রিগেড সফল করার আহ্বান। ইনসাফ যাত্রা এভাবেই চলেছে শেষ পর্বে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিওয়াইএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে ৫০ দিনে ইনসাফ যাত্রা। যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডে সমাপন হবে পদযাত্রার। তবে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যাত্রা শেষ হচ্ছে আজ। কিন্তু লড়াই জারি থাকবে।’
লড়াইয়ের বার্তা মিছিলের সামনে ট্যাবলোয়। কাজের দাবি তুলছেন যুবরা। দাবি তুলছেন সব বন্ধ কলকারখানা খোলার। দাবি উঠছে, দিতে হবে ন্যায্য মজুরি। শাস্তি দিতে হবে তাদের যারা যোগ্য যুবর কাজ কেড়ে নিতে চাকরি নিলাম করে, তাদের সবাইকে। একশো দিনের কাজের মজুরি, কাজের দিন বাড়ানোর দাবিতে সরব ইনসাফ যাত্রা। আর আহ্বান একতার।
যুব নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দুর্নীতিবাজ আর দাঙ্গাবাজরা একে অন্যকে সহায়তাই করে। হটাতে হবে যুবজীবনের, সমাজজীবনের দুই শত্রুকেই।
এদিন সকালে বারুইপুরে জনসমাবেশেই লড়াই দৃঢ় বার্তা ছড়িয়ে দেয় ইনসাফ যাত্রা। তারপর দীর্ঘ পথে বারেবারে জনতার অভ্যর্থনা। প্রবীণরা কাছে টেনে নিয়েছেন নবীনদের। এগিয়ে যাওয়ার সাহস জুগিয়েছেন গোটা রাস্তায়। বিকেলের পর সেই মিছিলই চলমান জনসমাবেশ। রাস্তা জুড়ে হাঁটছেন নানা বয়সের, নানা পেশার মানুষ।
Comments :0