কেরালায় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে দিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে নিয়োগ করতে বিল পাশ হলো বিধানসভায়। তবে, বিলটি নিয়ে আলোচনার শেষে মঙ্গলবার মন্ত্রীর জবাবী ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ’র বিধায়করা অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন। এর ফলে বিরোধী শূন্য কক্ষে ভোটাভুটি ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালায় আইন (সংশোধনী) বিলটি গৃহীত হওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ এএন সামসির।
বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস বা ইউডিএফ’র কোনও শরিক দলেরই বিধায়ক বিশ্ববিদ্যলয়ের আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানাননি। তবে, সুপ্রিম কোর্ট অথবা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে নিয়োগ করার দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস। রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে পৃথক ব্যক্তিকে নিয়োগেও আপত্তি জানিয়েছিল তারা। তাদের দাবি ছিল আর্থিক বোঝা কমাতে সমস্ত বিশ্ববিদ্যলয়ে একজনকেই যেন আচার্যপদে নিয়োগ করা হয়।
এদিন জবাবী ভাষণে কেরালার আইন মন্ত্রী পি রাজীব জানিয়েছেন, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধীদল নেতা এবং বিধানসভার অধ্যক্ষকে নিয়ে আচার্য নিয়োগের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তবে, কতজনকে আচার্যপদে নিয়োগ করা হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করতে হবে বলে জানিয়েছে আইনমন্ত্রী রাজীব।
এদিন বিধানসভায় পাশ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধনী) বিলে আরও বলা হয়েছে, আচার্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকলে তাকে পদ থেকে অপসারণের ক্ষমতা রাজ্য সরকারের হাতে থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিকে দিয়ে তদন্তের ভিত্তিতে আচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে রাজ্য সরকার।
Comments :0