দীপাঞ্জনা দাশগুপ্ত দে
শ্রমজীবীর জোট গড়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ার লক্ষ্য জানালো খেতমজুর সম্মেলন। সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সম্মেলনে ঘোষণা, সামাজিক বিচারে বঞ্চিতদের সংগঠনে যুক্ত করায় বাড়তি গুরুত্ব দেবে সংগঠন।
বুধবার হাওড়ার শরৎ সদনে শুরু হয়েছে সম্মেলন। প্রাঙগন সাজিয়ে তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
এদিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন গণআন্দোলনের নেতা শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। গ্রাম ভারতে তীব্র সঙ্কটের সময়ে খেটে খাওয়া সব অংশের একজোটে লড়াইয়ে জোর দিয়েছেন তিনি। রাজ্যে তৃণমূল, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের মেয়াদে তীব্র নিপীড়নের পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরেছেন তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ বিজয়রাঘবন বলেছেন, বিজেপি সারা দেশে চালাচ্ছে আর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস একই কায়দায় দুষ্কৃতীরাজ চালাচ্ছে। প্রতিবাদের সুযোগ নেই, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক পরিবেশ বদলে দিয়েছে। বিভাজন তীব্র চেহারা নিচ্ছে।
একশোদিনের কাজের বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। বিজয়রাঘবন বলেছেন, আমরা বছরে ২০০ দিন কাজ আর দিনে অন্তত ৬০০ টাকা মজুরির দাবি করছি। সেখানে পরকল্প ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে মোদী সরকার। কোনও সময়েই গড়ে বছরে চল্লিশ দিনের বেশি কাজ হয়নি। এখন তো এই প্রকল্পের কাজ প্রায় বন্ধ।
সংগঠনের বক্তব্য, গ্রামে কাজ না থাকায় অসহায় অবস্থায় বাধ্য করা হচ্ছে বিপুল অংশকে শহরে আসতে। শহরে তাঁরাই ভয়াবহ শোষণের শিকার হচ্ছেন। মুনাফা বাড়ছে, গ্রাম অর্থনীতিকে ধ্বংস করার বিনিময়ে।
তিনি বলেন, গ্রামে কৃষির ওপর আক্রমণ তীব্র। কৃষক এবং খেতমজুরের পাশাপশি সব অংশের জোট গড়া প্রয়োজন। প্রয়োজন এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে। কোভিডের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আদানিরা একদিকে ধনী হয়েছে আরও। সাধারণ মমানুষকে নিঃস্ব করা হয়েছে। তাতে যদিও বিজেপি’র মাথাব্যথা নেই।
শ্রমিকদের ওপর আক্রমণ, কৃষিজীবীর ওপর আক্রমণ হচ্ছে সমান তালে। সেই প্রবণতার উল্লেখ করেছেন রাঘবন। তিনি বলেছেন, শ্রমজীবীকেই দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। অবধারিত ফল হলো, খাদ্য সঙ্কট দেশে বাড়বে।
সিআইটিইউ’র সাধারণ সম্পাদক অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনিও জোর দিয়েছেন জোটবদ্ধ লড়াইয়ে।
(ছবি: অমিত কর)
Comments :0