অবিনেশ্বর শতপথী: জাজপুর
ভুবনেশ্বর যাওয়ার পথে ওডিশার জাজপুরে এক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পশ্চিমবঙ্গের সাতজন। তাঁরা সকলেই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা। শনিবার ভোর পাঁচটায় জাতীয় সড়ক-১৬-তে চাঁদিখোল নেউলপুর অঞ্চলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, একটি মিনি ট্রাকে মুরগি নিয়ে বসিরহাটের এই বাসিন্দারা ভুবনেশ্বরে যাচ্ছিলেন। মুরগি বিক্রি করাই তাঁদের পেশা। নেউলপুরে চারদিন আগেই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটি ট্রাকই পুড়ে যায়। একটি অগ্নিদগ্ধ ট্রাক সেভাবেই রাস্তায় পড়ে ছিল। সেই ট্রাকে আকরিক লোহা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ঘন কুয়াশা থাকায় মিনি ট্রাকের চালক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিকে দেখতে পাননি। প্রচণ্ড গতিতে মিনি ট্রাক এসে লরিটির পিছনে ধাক্কা মারে। মিনি ট্রাক দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিশ ও দমকল এসে মিনি ট্রাকের যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। স্থানীয় মানুষও উদ্ধারে হাত লাগান। জাজপুরের পুলিশ সুপার বিনীত আগরওয়াল জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই ৬ জন প্রাণ হারান। একজনকে এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ধর্মশালা থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, নিহতরা হলেন করিম সর্দার, আহমদ আলি সর্দার, সুরয মণ্ডল, আরিফ সর্দার, জাহাঙ্গির সর্দার, মোয়াজ্জেম সর্দার, আমিরুল সর্দার। সকলেই যুবক। তাঁদের দেহ বরচানা কমিউনিটি স্থাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সুরয মণ্ডল মিনি ট্রাকের চালক ছিলেন। ওডিশা পুলিশের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে দেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
প্রশ্ন উঠেছে, একটি দুর্ঘটনার চারদিন পরেও কেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাক ওই সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেওয়া হলো। জাতীয় সড়কে যানবাহনের গতি প্রবল থাকায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তা সত্ত্বেও কেন ওই ট্রাক পুলিশ সরানোর ব্যবস্থা করেনি, তা নিয়ে স্থানীয় মানুষেরও প্রশ্ন রয়েছে।
ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
Comments :0