বৃহস্পতিবার, নিজেদের মাঠে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার মুখোমুখি হয় বাস্তব রায়ের ছেলেরা। ডুরান্ড কাপে পরপর দুই ম্যাচে জয়ের পর, আবার কলকাতা লিগে সেরা পারফরম্যান্সের ধারা বজায় রাখল মোহনবাগান।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে তাঁরা। গ্যালারি জুড়ে সমর্থকদের উৎসাহ এবং উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চাপ বজায় রাখে বাগান। একফোঁটা আত্মতুষ্টি চোখে পড়েনি গোটা দলের মধ্যে। সেকেন্ড হাফে কর্তৃত্ব বজায় রাখে বাগান শিবিরই এবং তিনটি গোল পায় তাঁরা। ৫৭ মিনিটে আসে তৃতীয় গোলটি। নংডোমবা নাওরেম ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন দলকে। এই গোলটির পিছনেও টাইসন সিংয়ের ভূমিকা ছিল।
৮৪ মিনিটে দলকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দেন বঙ্গসন্তান দীপেন্দু বিশ্বাস। এবং এই গোলটির ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখেন টাইসন সিং। ডিফেন্স থেকে ‘ওভারল্যাপে’ উঠে এসে টাইসনের বাড়ানো ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যান দীপেন্দু।
ম্যাচের একদম শেষলগ্নে এসে নিজে গোল পান টাইসন। সংযুক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে এফসিআই গোলরক্ষককে গতিতে পরাস্ত করে গোল পান এই মাঝমাঠের খেলোয়াড়টি।
এদিন গোল সংখ্যার নিরিখে দাপট বজায় রাখলেও বল দখলের হারে খুব পিছিয়ে ছিল না এফসিআই। বাগানের বল দখলের হার এদিন ছিল ৫২ শতাংশ। প্রতিপক্ষ গোল লক্ষ্য করেও সারা ম্যাচে মাত্র ৩টি শট নিতে পেরেছেন বাগান খেলোয়াড়রা।
এখনও অবধি কলকাতা লিগে ৭ ম্যাচ খেলে ২৫টি গোল করেছে মোহনবাগান। গোল খেয়েছে মাত্র ৬টি। একমাত্র ইস্টবেঙ্গল ছাড়া অন্য কোনও দল এর ধারেপাশে নেই। চলতি লিগে ৮ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল করেছে ২০টি গোল। যদিও ইস্টবেঙ্গল ১টি গোল কম হজম করেছে। ১৮টি করে গোল করেছে মহামেডান এবং এরিয়ান।
Comments :0