ওপেনাররা প্যাভিলিয়নে, ভরসা এখন কোহলিই শুরুর মাঠে বিধ্বংসী বুমরা
-
-
- Jan 13, 2022 07:30 [IST]
- Last Update: Jan 13, 2022 07:30 [IST]
বোলাররা পথ মসৃণ করেন। কিন্তু ব্যাটিং বিভাগ সেই পথে এগতে না পারার গল্প। কেপটাউনের চিত্রও খানিকটা এমন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৩ রান করেছিল ভারত। অধিনায়ক বিরাট কোহলি একলা লড়াইয়ে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এত কম রানের পুঁজি সঙ্গী করেও ১৩ রানের লিড এনে দেন বোলাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪ রানে দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। হাল এখন কোহলি-পূজারা জুটির উপর। দিনের বাকি সময়টা আর কোনও বিপদ আসতে দেননি। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৫৭/২। সব মিলিয়ে লিড ৭০ রানের।
দিনের শুরুটা যেমন প্রত্যাশা ছিল, তেমনই দিলেন জসপ্রীত বুমরা। ২০১৮ সালে এই মাঠেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বুমরার। শুরুর মাঠে ফের বিধ্বংসী মেজাজে। সব মিলিয়ে ইনিংসে নিলেন পাঁচ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট তাঁর। মাঝে সামির আগুনে স্পেল। কিগান পিটারসনের লড়াই সত্ত্বেও ২১০ রানে অলআউট বুমরা।
এদিন যেন শেষ থেকে শুরু করলেন। প্রথম দিন অধিনায়ক ডিন এলগারকে ফিরিয়েছিলেন বুমরা। দিনের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই মারক্রামের উইকেট ছিটকে দেন বুমরা। বোলিং বিভাগের কাছে কাঁটার মতো বিঁধতে পারে নাইটওয়াচম্যান কেশব মহারাজের ২৫ রানের ইনিংস। অবশেষে তাঁকে ফেরান উমেশ যাদব। পরিবর্ত বোলার হিসাবে আক্রমণে এসে বোল্ড করেন।
ভারতের কাছে বড় বাধা ছিলেন কিগান পিটারসন। মজবুত রক্ষণ। শট খেলতেও দ্বিধা করেন না। বেশ কিছু বল ব্যাটের কানায় লাগলেও স্লিপ অবধি পৌঁছায়নি। পিটারসন-ডুসেন জুটি মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় শিবিরে। ডুসেনকে (২১) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন উমেশ। বাভুমাকে নিয়ে আরও একটা বড় জুটির দিকে এগচ্ছিলেন পিটারসন। ৪২ রানের জুটি ভাঙার পাশাপাশি জোড়া ধাক্কা মহম্মদ সামির। বাড়তি প্রশংসা করতে হবে কোহলি, ঋষভের ফিল্ডিংয়েরও।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের ৫৬ তম ওভার। আগুন ঝরাচ্ছেন সামি, বুমরা। সামিকে সামলাতে বাড়তি হিমশিম। ক্রিজে সেট ব্যাটসম্যান তেম্বা বাভুমা। ম্যাচে ফিরতে হলে এই জুটি ভাঙতেই হবে। বাভুমা সহ এক ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘোরালেন সামি। তাঁর বোলিংয়ে স্লিপে কোহলির অনবদ্য লো-ক্যাচে বাভুমার ইনিংসের ইতি। টেস্ট ক্রিকেটে শততম ক্যাচ কোহলির। এক বলের ব্যবধানে কাইল ভেরাইনেকে ফেরালেন সামি। উইকেটের পিছনে দারুণ ক্যাচ ঋষভ পন্থের। সামির বোলিং এবং চোখ ধাঁধানো জোড়া ক্যাচই মোড় ঘোরালো। বাকি সময়ে মূল দায়িত্ব নিলেন বুমরাই।
জোহানেসবার্গে বাউন্সার দিয়ে ‘ব্যাটসম্যান’ বুমরাকে রাগিয়েছিলেন মার্কো জানসেন। দু’জনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় সামলাতে হয়েছিল আম্পায়ার মারিয়াস এরাসমাসকে। এদিন জানসেনকে বাউন্সারে স্বাগত জানান বুমরা। নিয়মিত শর্টপিচ এবং ইয়র্কারে বিব্রত করলেন। একটা সময় জানসেনের রক্ষণ সঙ্গ দিল না। বুমরার বিশ্বমানের ডেলিভারি জানসেনের অফস্টাম্প উপড়ে ফেলে দিল অনেকটা দূরে। এক ওভারের ব্যবধানে কিগান পিটারসনকে ফেরালেন বুমরাই। ১৬৬ বলে ৭২ রানের ইনিংস কিগানের।
টেল-এন্ডারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলিং বরাবরই অস্বস্তিতে পড়েন। এদিনও লোয়ার অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রান যোগ করেন রাবাডা (১৫), অলিভিয়ের (১০)। লো-স্কোরিং ম্যাচে এই রানগুলোই চাপ তৈরি করে। রাবাডাকে ফেরান শার্দূল। এনিগিডিকে ফিরিয়ে নিজের পাঁচ উইকেট এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে ইতি টানেন বুমরা।