চুঁচুড়া কোদালিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দমঠে একটি পরিত্যক্ত ঘরে দশটি বোমা পড়ে থাকায় চাঞ্চল্য! বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার এক বাসিন্দা মমতা রায় ভৌমিক ঝিঙে তুলতে গিয়ে তা দেখতে পান। তিনি দেখেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে সুতলি দড়ি দিয়ে বাঁধা গোলাকার দশটি বস্তু।
বিষয়টি জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কেউ বোমা রেখে গেছে নয়ত পরিত্যক্ত ঘরে তৈরি হতো হত বোমা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ হাজির হয় ঘটনাস্থলে। তদন্ত নেমে প্রথমে সাতটি ও পরে আরও তিনটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
পঞ্চায়েত ভোটের কিছু আগে থেকে পরপর বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা হাতে তুলে নিচ্ছে শিশুরা, বোমা ফেটে মৃত্যু হচ্ছে। ভোটের পরও বোমার হদিশ মিলেই চলেছে।
বাড়িটির পিছনে আরও একটি ঘর রয়েছে। সেই ঘর থেকে আরও একটি বোমা উদ্ধার করে। মোট দশটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা মমতা রায় ভৌমিক বলেন, ‘‘সকাল বেলা ঝিঙে তুলতে গিয়েছিলাম। জানলার দিকে তাকাতেই দেখি সুতলি দড়ি দিয়ে বাঁধা বোমা পড়ে রয়েছে। আগে এই এলাকায় কখনো এরকম ঘটনা ঘটেনি।’’
আনন্দমঠের বাসিন্দা রিঙ্কি সামন্ত বলেন, ‘‘আগে কোনদিনও দেখিনি এত বোমা। হঠাৎ দেখে হাত-পা কাঁপতে শুরু করে দিয়েছে। পাড়ার প্রতিবেশীরা সবসময় এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে। হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে গেলে কী হতো। আমাদের বাচ্চারা আছে। বেশ ভয়ই লাগছে।’’
গত দশ বছরের বেশি সময় এই বাড়িতে কেউ থাকে না। বন জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। বোমা কে রাখল, কবে রাখল তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এতগুলি বোমা রাখা হলো, নজরদারিই বা ছিল না কেন, রয়েছে সেই প্রশ্নও। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ এখনই কিছু জানায়নি।
Comments :0