পঞ্চায়েত ভোটে আমডাঙায় ভোট লুট করেছিল তৃণমূল গ্রামবাসীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। হিমেশ শীতল হাওয়া গায়ে মেখে লড়াইয়ের শপথ নিল আমডাঙা। সোমবার বাংলা বাঁচাও যাত্রা প্রবেশ করে আমডাঙায় সেখানে হয় মহাসমাবেশ বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক পলাশ দাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি সহ অন্যান্যরা। সমাবেশে পলাশ দাশ বলেন, "আমডাঙার মানুষ যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাকে কুর্নিশ জানাই এখানকার মানুষ পঞ্চায়েতে ভোট দিতে পারেনি। গণতন্ত্রকে শেষ করেছে রাজ্যের শাসক দল। তিনি বলেন যে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কৃষক, খেতমজুর, ছাত্র, যুব কেউ ভালো নেই। কৃষক ফসলের দাম পাচ্ছে না, মান্ডিতে ধান বিক্রি করা যাচ্ছে না, রাজ্য জুড়ে ফোরেদের রাজ চলছে।"
মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, "বামফ্রন্ট গরীব মানুষকে জমি দিয়েছিল। আর তৃণমূল নেতা শাহজাহান মানুষের জমি লুঠ করেছে। গোটা রাজ্যে তৃণমূল মানুষের জমি লুঠ করছে। এই লুঠের রাজ শেষ করতে হবে।"
মীনাক্ষী বলেন, "মানুষকে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হয়রান করা হচ্ছে। মানুষ যখন এসআইআর-র চিন্তায় ব্যস্ত তখন মমতা সরকার চুপি চুপি এই রাজ্যে ওয়াকফ আইন লাগু করলো।"
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে যখন এই রাজ্যে সংখ্যালঘু মানুষ প্রতিবাদে নামেন তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে এই রাজ্যে ওয়াকফ আইন তিনি চালু করতে দেবেন না। এখন দেখা যাচ্ছে এসআইআর-র সুযোগ নিয়ে সে আইন তিনি চালু করেছেন। আমডাঙা সভা থেকে ওয়াকফ নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধলেন মীনাক্ষী।
পলাশ দাস বলেন, "এই রাজ্য থেকে ছেলেরা বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করছেন তারা। সরকার কোনও দায়িত্ব নিচ্ছে না। কেরালায় একজন শ্রমিকের যা মজুরি পায় তার থেকে অনেক কম মজুরি এখানকার শ্রমিকরা পায়।"
Comments :0