Kolkata

জলে ভাসছে মহানগর, মৃত অন্তত ৯

রাজ্য কলকাতা

টানা বৃষ্টিতে কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার দুপুরে খবর পাওয়া গেছে। এখনও কলকাতার বহু রাস্তা জলমগ্ন। বিদ্যুতের তার কোথায় ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে কেন জানেন না। আশঙ্কা রয়েছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যদিও বিভিন্ন এলাকায় এই মুহূর্তে  বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বেহালা ১, হরিদেবপুর ১, গরফা ১, গড়িয়াহাট ১, বেনিয়াপুকুর ২, শেক্সপিয়র সরণি ১, একবালপুর ১ এবং নেতাজিনগরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার রাতভর ভারী বৃষ্টিতে কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় জলমগ্ন। বৃষ্টি-সংশ্লিষ্ট নানা কারণে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার রাতে বৃষ্টি নামে। রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয় গোটা কলকাতা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র জলবন্দি মানুষ। 
কলকাতা পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, কামডহরি(গড়িয়া)- ৩৩২ মি.মি,  যোধপুর পার্ক- , ২৮৫ মিলিমিটার, কালিঘাট- , ২৮০.২ মিলিমিটার,  তপসিয়া- ২৭৫ লিমিমিটার, বালিগঞ্জ- , ২৬৪ মিলিমিটার, চেতলা- , ২৬২ মিলিমিটার, মোমিনপুর- , ২৩৪ মিলিমিটার, চিংড়িহাটা-, ২৩৭ মিলিমিটার,  পামার বাজার- , ২১৭ মিলিমিটার, ধাপা- , ২১২ মিলিমিটার, সিপিটি ক্যানেল- , ২০৯.৪ মি.মি, উল্টোডাঙ্গা- ২০৭ মিলিমিটার,  কুদঘাট- ২০৩.৪ মিলিমিটার, পাগলাডাঙ্গা‌ (ট্যাংরা)- ২০১ মি. মি, 
কুলিয়া (ট্যাংরা)- ১৯৬মি.মি, ঠনঠনিয়া- ১৯৫ মিলিমিটার
বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। 
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে প্রাকিতিক দুর্যোগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হওয়া পাঁচ জনের পরিচয় জানা গেছে। অন্যান্যদের খোঁজখবর নেওয়ার কাজ চলছে। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করছে রাজ্য। সেই সঙ্গে পরিবারের একজনকে চাকরির ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মোমিনপুরের হোসেন শাহ রোডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের। নেতাজিনগর এবং বেনিয়াপুকুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। গড়িয়াহাটেও জমা জল থেকে এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
কালিকাপুরে এক সাইকেল আরোহীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে হরিদেবপুর ও বেহালাতেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। বালিগঞ্জ থেকেও একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মিন্টো পার্ক এলাকায় একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। 
জল জমার কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, পাশাপাশি শহরতলির রেল ও মেট্রো পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে। শহরের বেশ কয়েকটি নিচু এলাকায়, জল ঘরে ঢুকে পড়েছে এবং সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আগেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কলকাতা শহরে ছেঁড়া তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তা থেকে শিক্ষা নেয়নি রাজ্য সরকার, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, পৌরসভা, পুলিশ প্রশাসন।  এদিন নয়জন মানুষের মৃত্যুর দায় কে নেবে শেই প্রশ্ন উঠেছে। সুধু ক্ষতিপূরণ দিয়ে এতগুলো মৃত্যুর দায় সারতে পারে না সরকার বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

Comments :0

Login to leave a comment