২০০২'র ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫'র তালিকা মেলানোর কাজ রাজ্যে প্রায় শেষ। কমিশন সূত্রে এমনই দাবি জানানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে যে দুই তালিকায় নামে মিল বা 'ম্যাচিং' রয়েছে ৫২ শতাংশের।
দিল্লিতে বিভিন্ন রাজ্যের আধিকারিকদের নিয়ে এসআইআর সংক্রান্ত বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যে এসআইআর'র প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই এই রাজ্যগুলিতে বিধানসভা ভোট ২০২৬-এ।
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-র প্রস্তুতি চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। নভেম্বরেই এসআইআর তিন পর্যায়ের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। প্রথম পর্বে বিএলও-দের মাধ্যমে ফর্মে নাম তোলার কাজ চলবে ৩০-৩৫ দিন। এর পর দু’দফায় খসড়া তালিকা এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
রাজ্যে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের মোট ভোটারের ৫২ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৩.৭ কোটি ভোটারের নাম ২০০২-র ভোটার তালিকায় রয়েছে। ২০২৫’র জানুয়ারিতে শেষ যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তার ৪৮ শতাংশ, অর্থাৎ ৩.৫ কোটি ভোটারের নাম সেই পুরনো তালিকার বাইরে। উল্লেখ্য রাজ্যে ২০০২ সালেই শেষ ‘নিবিড় সংশোধন’ বা ‘আইআর’ হয়েছিল। কিন্তু সেবার কাউকে ফর্ম ভরতে হয়নি, নথিও চাওয়া হয়নি। বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাম খোঁজ করে দেখেছিলেন।
এসআইআর-এ প্রত্যেককে ফর্ম ভরতে বলা হয়েছিল বিহারে। কিন্তু ফর্ম জমার পর রসিদ কাউকে দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টেও সে বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। রাজ্যের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা চালু হবে কিনা স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, দুই তালিকার ব্যবধান মানে প্রায় তেইশ বছরে বহু মানুষ যেমন মারা গিয়েছেন তেমনি স্বাভাবিক নিয়মেই বহু নাম যুক্ত হয়েছে। অনেকে নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করেছেন।
সিইও দপ্তরের সূত্র জানাচ্ছে, এসআইআর কাজ কেবল বাকি রয়েছে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। এই দুই জেলায় প্রায় ৪০ লক্ষ ভোটদাতা রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিহারে ২০০২’র তালিকার তুলনায় নতুন নামের সংখ্যা ছিল প্রায় ২ কোটি। পশ্চিমবঙ্গে সেই সংখ্যা ৩.৫ কোটি।
জানা গিয়েছে যে আনুষ্ঠানিকভাবে এসআইআর ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি জারি হলে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকবে কমিশন।
SIR West Bengal
২০০২’র তালিকার সঙ্গে মিলেছে প্রায় ৫২ শতাংশ নাম
×
Comments :0