সঞ্জিত দে ও দীপশুভ্র সান্যাল
ধূপগুড়িতে প্রচারের শেষ লগ্নে বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিআই(এম) প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়ের সমর্থনে মহামিছিলে যোগ দিলেন বিভিন্ন অংশের মানুষ। বামফ্রন্ট প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস।
রবিবার বৈরাতিগুড়ি স্কুলের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে ধূপগুড়ি শহর পরিক্রমা করে। মিছিলে পথ হাঁটেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য, রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জীবেশ সরকার, রাজ্য কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জী, সায়নদীপ মিত্র সহ অন্যান্য পার্টি নেতৃবৃন্দ। মিছিল ঘিরে ধূপগুড়ির মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সভা হয়। চক্রবর্তীর আহ্বান, দলবদলুদের রাজনীতি রুখতে হবে। পরিচ্ছন্ন করতে হবে বাংলার রাজনীতিকে। ধূপগুড়ির সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে জয়যুক্ত করুন।
রবিবারই বিজেপি’তে যোগ দেন ধূপগুড়িতে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। শনিবারই তিনি অভিষেক ব্যানার্জিকে উত্তরীয় পরিয়ে মঞ্চে স্বাগত জানিয়েছেন ধূপগুড়ির সভায়। রবিবার সকালে সেই মিতালি রায় বিজেপিতে যোগ দিলেন। ২০২১ সালে বিজেপি’র বিষ্ণুপদ রায়ের কাছে হারেন তিনি। তারপর উপ-নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। অভিষেকের সমাবেশের আগে বিজেপি’র এক নেতাকে আবার মঞ্চে তুলে দলবদল করায় তৃণমূল। নীতিহীন এই রাজনীতিকে হারানোর ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট।
সুজন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, রাজ্যে তৃণমূলের সময় শেষ। বিজেপি’র চেহারাও দেখে নিয়েছেন জনতা। তাই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরাদ হাকিমকে ধূপগুড়ি শহরে মাত্র চল্লিশ জনকে নিয়ে প্রচারের শেষ লগ্নের মিছিল করতে হয়। কাল যাঁকে বরণ করা হল আজ তিনিই বিজেপি’তে যোগ দিলেন। মানুষ তৃণমূল এবং বিজেপির চরিত্র বুঝে গেছে। তাই এবারের বিধানসভা উপনির্বাচনে ধূপগুড়ির মানুষ বামফ্রন্ট প্রার্থীর পক্ষে।
ছবি: প্রবীর দাশগুপ্ত
Comments :0