গোকুলাম কেরালা এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হয় দুই দল।
খেলার শুরু থেকেই লাল হলুদ ঝড়। ম্যাচের ১ মিনিটের মধ্যেই, বোরহার কর্নার থেকে প্রথমে সিভেরিওর হেড এবং সেই বল থেকেই জর্ডন এলসের ফিরতি হেডে দুর্দান্ত গোল। বলা যেতে পারে, এই ডুরান্ড কাপের দ্রুততম গোল।
গোটা দলের আত্মবিশ্বাস যেন অনেকটা বেড়ে যায় এই গোলের পর। যদিও পাল্টা আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টা করে গোকুলামও। ম্যাচের ২৭ মিনিটে, ফাউল করার অপরাধে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গল মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী। অন্যদিকে, ম্যাচের ৩২ মিনিটে সল ক্রেসপোর শট ক্রসবারে না লাগলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে সৌভিক চক্রবর্তীর সেন্টার থেকে সিভেরিওর হেড একটুর জন্য বাইরে যায়। তবে গোকুলামের হয়ে কমরন তুরসুনভকে বেশ সপ্রতিভ লাগল। তাঁর দূরপাল্লার শট বাইরে না গেলে, তখনই সমতা ফেরাতে পারত কেরালার দলটি। কয়েক মিনিট বাদে, গোকুলাম ফরোয়ার্ড স্যাঞ্চেজের শট রুখে দেন লাল হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখান সিং গিল।
শেষপর্যন্ত প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ফলাফল নিয়েই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে চাপ বাড়ায় গোকুলাম কেরালা এফসি। সেই জায়গা থেকেই, ম্যাচের ৫৭ মিনিটে অভিজিতের সেন্টার থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে সমতা ফেরান বৌবা আমিনৌ। ফলাফল দাঁড়ায় ১-১। এরপর দলে দুটি পরিবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত।
সৌভিক ও বোরহার বদলে মাঠে আসেন লুকাস এবং এডউইন ভ্যান্সপল। অন্যদিকে, গোকুলাম দলেও একটি পরিবর্তন হয়। কমরনের বদলে মাঠে নামেন নৌফাল।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে, সিভেরিওর পরিবর্তে মাঠে আসেন ক্লেইটন সিলভা। কিছুক্ষণ পর, গোকুলাম দলেও দুটি পরিবর্তন করেন কোচ ডমিঙ্গো ওরামাস ক্যাবেরা। স্যাঞ্চেজ এবং অভিজিতকে তুলে মাঠে নামান রাহুল রাজু এবং সিজিনকে।
কিন্তু কয়েকমুহূর্ত বাদেই, বৌবার আত্মঘাতী গোলে ফের ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। সেই লিড তাঁরা শেষ অবধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এই ম্যাচে গোকুলাম কেরালা এফসির জার্সি গায়ে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন বাংলার নরহরি শ্রেষ্ঠ।
এদিন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ভিপি সুহের এবং মন্দার রাও দেশাইকেও মাঠে নামান লাল হলুদ কোচ। এই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেল সেকেন্ড হাফে। আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণে খেলা বেশ জমে উঠল। তবে ইস্টবেঙ্গল যেন আজ জয়ের জন্যই খেলতে নেমেছিল।
শেষপর্যন্ত ২-১ গোলে জিতে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল লাল হলুদ ব্রিগেড। খেলা শেষে, ধন্যবাদ জানাতে দর্শকদের দিকে এগিয়ে যান ফুটবলাররা।
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ইস্টবেঙ্গল কোচ জানান, "জয় পেয়ে দারুণ লাগছে। সমর্থকরাও খুশি। এই আত্মবিশ্বাসটাই ধরে রাখতে চাই।"
জর্ডন এলসে বলেন, “ইস্টবেঙ্গলের জন্য গোল করে ভালো লাগছে।”
Comments :0