অনিল কুণ্ডু
আইএসএফ এবং সিপিআই(এম) প্রার্থীদের কোন ভাবে মনোনয়ন দিতে দেওয়া যাবে না। বিরোধীরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে না পারে তার জন্য বৃহস্পতিবার সকালেই বিডিও দপ্তরে যান তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। সাধারণ এক রাজনৈতিক নেতা কি ভাবে মনোনয়ন চলাকালিন বিডিও দপ্তরে যেতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
মনোনয়ন পর্বের প্রথম থেকেই অশান্ত ভাঙড়। আক্রমণ হয়েছে সিপিআই(এম) আইএসএফের ওপর। পাল্টা প্রতিরোধও হয়েছে। এলাকা ছেড়ে পালাতে হয়েছিল আরাবুল ও তার বাহিনীকে। শুক্রবার মনোনয়নের শেষদিন। এই দিন কোন ভাবে বিরোধীরা যাতে বিডিও দপ্তরের ধারে কাছে না আসতে পারে তার জন্য বিডিও অফিসের এক কিলোমটারের মধ্যে জারি থাকা ১৪৪ ধারাকে অগ্রাহ্য করেই জমায়েত করতে শুরু করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। আইএসএফ এবং সিপিআই(এম) কর্মীদের লক্ষ করে মুহূর্মুহূ বোমা ছোড়া হয়। চলতে থাকে এলো পাথারি গুলি। খবর সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের দিকে বোমা ছোড়া হয়।
অভিযোগ এদিন সকাল থেকেই জীবনতলায় বাইরে লোক জড়ো করতে শুরু করে আরাবুল ইসলাম এবং সওকাত মোল্লা। বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে গেলে বিজয়গঞ্জ বাজারে তাদের আটকানো হয়। চলতে থাকে গুলি, বোমা। ভাঙড় ১ এবল ভাঙড় ২ ব্লকেই অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল। বিডিও অফিসের দখল নেয় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী।
ভাঙড়ে তৃণমূলের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আইএসএফ কর্মী মহম্মদ মহিদ্দিন মোল্লার। শানপুকুর গ্রামের নিমপুরিয়া দক্ষিণে বাড়ি বছর ৩০-৩২ এর এই যুবকের। বিরোধীদের ওপর গুলি, বোমাবাজির পাশাপাশি আগুন ধড়িয়ে দেওয়া গাড়িতে।
উল্লেখ্য গোটা ঘটনা যখন ঘটছে তখন নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয় পুলিশ। এসডিপিও’র নেতৃত্ব পুলিশ বাহিনী দুষ্কৃতিদের না আটকে ব্যাস্ত থাকলো সংবাদমাধ্যম যাতে কোন ভাবে খবর না করতে পারে। বিরোধীরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে পারে তার জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। বেলা তিনটের কিছু সময় আগে সক্রিয় ভূমিকা নিতে যায় পুলিশকে। কিন্তু পুলিশ যখন ভূমিকা নিচ্ছে তখন মনোনয়ন জমা দেওয়া সময় প্রায় শেষের দিকে। তবে বিডিও অফিসের ঢোকার সুযোগ পেয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে যান সিপিআই(এম) এবং আইএসএফ প্রার্থীরা। তারা জানিয়েছেন যে তারা মনোনয়ন জমা দিয়েই বাড়ি যাবেন। প্রার্থীদের দাবি সকাল ১১টা থেকে তাদের আটকে রাখার জন্য বোমা গুলি চালাতে থাকে তৃণমূল।
মুখে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বললেও ভাঙড়, চোপড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে কোন কথা বলতে শোনা যায়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে।
Comments :0