মতাদর্শ, রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি। কেবল পার্টি নয়, দেশের পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দিল্লিতে সীতারাম ইয়েচুরির প্রথম প্রয়াণ দিবসে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি।
বেবি বলেছেন, ‘‘আরএসএস’র ফ্যাসিস্ট ধাঁচের নীতি এবং দেশের শীর্ষ স্তরে এই সংগঠনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতিতে লড়াই চলছে এখন। সেই লড়াইয়ের রাজনৈতিক এবং মতাদর্শগত ভিত্তি প্রসার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি।
এক বছর আগে এই দিনেই শ্বাসজনিত সংক্রমণের জেরে দিল্লির এইমস-এ প্রয়াত হন সিপিআই(এম)’র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। শুক্রবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে তাঁর স্মৃতিতে।
দিল্লিতে মূল অনুষ্ঠানে ইয়েচুরির প্রতিকৃতিতে মালা দেন বেবি। শ্রদ্ধা জানান প্রবীণ পার্টিনেতা এবং প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত, প্রবীণ পার্টি নেত্রী বৃন্দা কারাত, প্রবীণ পার্টি নেতা হান্নান মোল্লা সহ নেতৃবৃন্দ।
বেবি বলেছেন, ‘‘দেশের বিভিন্ন অংশে সিপিআই(এম)’র দৃষ্টিভঙ্গি জনতার মাঝে ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন ইয়েচুরি। আরএসএস-বিজেপি’র বিরুদ্ধে সংগ্রামের মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূরণ ভূমিকা নেন গত লোকসভা নির্বাচনের আগে। সেই ভূমিকা গত বছর তাঁর স্মরণসভায় উল্লেখও করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।’’
এদিনই ইয়েচুরিকে স্মরণ করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন লিখেছেন, ‘‘একাধিক রাজনৈতিক সংগ্রামকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছেন ইয়েচুরি। লড়াইয়ের অদম্য স্পৃহা অনন্য করে রেখেছে তাঁকে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ধারা সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর তাঁর ভূমিকায় সেটি স্পষ্ট হয়েছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে দু’বার ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। আদালতের নির্দেশে তিনিই প্রথম রাজনীতিবিদ যিনি ৩৭০ ধারা বাতিলের পর শ্রীনগরে পৌঁছেছিলেন। দুনিয়াকে জানিয়েছিলেন সেখানকার পরিস্থিতি।’’
উল্লেখ্য, ২০১৯’র আগস্টে, এই ঘটনাক্রমের সময় গৃহবন্দি সিপিআই(এম) নেতা ইউসুফ তারিগামির বাসভবনে গিয়ে দেখাও করেছিলেন ইয়েচুরি।
বিজয়ন বলেছেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শ্রমিক, কৃষক এবং খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তির সংগ্রামে দায়বদ্ধ থেকেছেন সীতারাম ইয়েচুরি।
মন্তব্যসমূহ :0