অনিন্দ্য হাজরা
কৃষি সঙ্কট চলছে দেশজুড়ে। সঙ্ঘ পরিবার কী করছে? সঙ্কট মোকাবিলা না করে মেওয়াত হয়ে উত্তরাখন্ড, হরিয়ানা- দেশজুড়ে দাঙ্গা ছড়াচ্ছে ওরা। ত্রিশুল নিয়ে মিছিল করলে কৃষক আত্মহত্যা বন্ধ হবে?
মঙ্গলবার ধর্মতলার সারা ভারত কৃষকসভার সমাবেশে এই প্রশ্ন তুলেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণান। তিনি বাংলায় বক্তব্য রাখেন। প্রবল বৃষ্টি পড়েছে সমাবেশে। তার মধ্যেই সভা চলছে।
কৃষ্ণান বলেছেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও আপনারা জমায়েত করেছেন। আপনাদের অভিনন্দন। মোদী সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার কী হলো? কৃষক আত্মহত্যা করছে কেন তাহলে? ২০১৪-২০২৩ পর্যন্ত ১ লক্ষ কৃষক এবং ৩ লক্ষ খেতমজুর আত্মহত্যা করেছেন। পশ্চিমবাংলার একের পর এক জেলায়, বর্ধমানে ১৪৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে। মাত্র ১ জেলায় এটা হলে বাকি জায়গায় কী অবস্থা ভেবে দেখুন। অথচ সরকার ক্ষতিপূরণ দেয়নি।’’
বিজু কৃষ্ণান বলেছেন কৃষক-শ্রমিক ঐক্য গড়ে উঠছে দেশজুড়ে। ২৬, ২৭ এবং ২৮ নভেম্বর রাজভবন অভিযান হবে গোটা দেশে। লক্ষ লক্ষ কৃষকের জমায়েত হবে।
তিনি বলেন, ‘‘তেভাগা আন্দোলন গোটা দেশকে দিশা দেখিয়েছিল। আমরা আশাবাদী, আগামী দিনেও বাংলা গোটা দেশের কৃষক আন্দোলনকে দিশা দেখাবে। শ্রমিক কৃষকদের জন্য মমতা ব্যানার্জির সরকার নেই। কেরালা সরকার ফসলের দামে ভর্তুকি দিতে পারলে তৃণমূল সরকার কেন দিচ্ছে না? তৃণমূল-বিজেপি উভয় শক্তি কৃষক বিরোধী।’’
জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন প্রাদেশিক কৃষকসভার সম্পাদক অমল হালদার এবং সভাপতি বিপ্লব মজুমদারও।
Comments :0