Chhattisgarh Nun

উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মিথ্যা ফাঁস, ছত্তিশগড়ে জামিন সেই খ্রীস্টান সন্ন্যাসিনীদের

জাতীয়

বজরঙ দল, দুর্গা বাহিনীর মিথ্যা ফাঁস করলেন এই আদিবাসী যুবতীরা।

ছত্তিশগড়ে অসত্য অভিযোগে বন্দি খ্রীস্টান সন্ন্যাসিনীদের জামিন দিল আদালত। তাঁদের মুক্তির দাবিতে লাগাতার সরব ছিলেন বামপন্থীরা। 
দুই সন্ন্যাসিনী প্রীতি মেরি ও বন্দনা ফ্রান্সিসকে এদিন জামিন দেয় বিলাসপুর আদালত। দুর্গের জেলে বন্দি করা হয়েছিল তাঁদের, সঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা সুখমন মাণ্ডবীকেও। তাঁরও জামিন হয়েছে।
শনিবার বিলাসপুরে ছিলেন সিপিআই(এম) সাংসদ জন ব্রিটাস। সিপিআই সাংসদ পি সন্তোষ কুমার এবং কেসি(এম) সাংসদ কে মনি। 
সিপিআই(এম) নেত্রী বৃন্দা কারাত সহ বামপন্থী প্রতিনিধিদলকে দু’দিন আগে জেলে গিয়ে বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বাধা দেয় ছত্তিশগড়ের বিজেপি সরকারের প্রশাসন। তীব্র প্রতিবাদ হওয়ায় দেখা করতে দিতে রাজি হয়। আদালতে আগের শুনানির দিন আরএসএস’র সংগঠন বজরঙ দল আদালত কক্ষেই শুনানি বানচাল করে। এই বাহিনী পুলিশের সামনেই হুমকি দিয়েছে সন্ন্যাসিনীদের। 
মানব পাচার, জোর করে ধর্মান্তকরণের মতো অভিযোগ দিয়ে পুলিশকে দিয়ে খ্রীস্টান সন্ন্যাসিনীদের গ্রেপ্তার করায় বজরঙ দল। বিজেপি এবং আরএসএস আদিবাসী প্রধান বিভিন্ন এলাকায় বিভাজনের বিষ এভাবেই ছড়ায় নিয়মিত। 
এদিন বৃন্দা কারাত বলেছেন, ‘‘সিরাজুদ্দিন কুরেশির নেতৃত্বে এনআইএ আদালত এই সন্ন্যাসিনী এবং স্থানীয় আদিবাসী সুখমাইকে জামিন দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি সরকারের প্রশাসন লাগাতার এই সন্ন্যাসিনীদের বিরুদ্ধে চড়া সুরে সওয়াল করেছে। এই জামিন দেশের বহু মানুষের সংকল্পবদ্ধ লড়াইয়ের ফল। মিথ্যা অভিযোগে দায়ের এফআইআর বাতিল করতে হবে।’’
দুর্গা বাহিনী এবং বজরঙ দলের হুমকিতে স্থানীয় কয়েকজন যুবতী পাচার হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। 
গত ২৫ জুলাই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন জামিনের রায় শোনার পর স্থানীয় আদিবাসী বহু মানুষই জানিয়েছেন যে ছোট থেকেই প্রার্থনায় যোগ দেন তাঁরা। কিন্তু কাউকে ধর্ম বদল করতে জোর খাটানো হয়নি। বজরঙ দল এবং দুর্গা বাহিনীর চাপে পড়ে এমন অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 
ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয় স্থানীয় তিন যুবতীর সাহসী ভূমিকায়। এই তিন যুবতীকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছিল সন্ন্যাসিনীদের নামে। নারায়ণপুর থানায় তাঁরাই জানান দুর্গা বাহিনী এবং বজরঙ দলের কর্মীরাই তাঁদের দুর্গ রেল স্টেশনে দাঁড় করিয়ে মারধর করেছে। চরম অপমান করেছে। তাঁদের থানায় যেতে বাধ্য করেছে।
কেরালায় এই ঘটনার বিরুদ্ধে জনসমাবেশ হয়েছে। শনিবার বেঙ্গালুরুর ফ্রিডম পার্কেও জনসমাবেশ থেকে তীব্র নিন্দা করা হয় ঘটনার।

Comments :0

Login to leave a comment