মণিপুর পরিস্থিতি নিয়েই স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ শুরু করতে হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী বললেন, হিংসা হয়েছে মনিপুরে। তবে আপাতত শান্তির দিকে ফিরছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।
মে'র গোড়া থেকে মনিপুরে চলছে দুই জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। দেড়শোর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নির্যাতিত হচ্ছেন মহিলারা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চুপ থেকেছেন। সংসদে তাঁকে মুখ খোলাতে অনাস্থা প্রস্তাব পর্যন্ত আনতে হয়েছে বিরোধীদের। অনাস্থা প্রস্তাবেও মোদী দীর্ঘ ভাষণে মণিপুর নিয়ে বলেছেন সামান্য।
পর্যবেক্ষকদের মত, অবজ্ঞার মনোভাব ক্ষোভ তৈরি করেছে কেবল উত্তর পূর্বে নয়, সারা দেশে। বিশেষ করে, মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ভয়ংকর ভিডিও সামনে আসায়। সে কারণে এদিন মণিপুর নিয়েই ভাষণ শুরু করতে হলো মোদীকে।
মোদী বলেছেন মণিপুরে ভয়াবহ হিংসার তরঙ্গ চলেছে। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন নারীদের উপরে অত্যাচার হয়েছে। তবে মণিপুর শান্তির দিকে ফিরছে সারা দেশ মনিপুরের পাশে রয়েছে। মণিপুরের অশান্তি হলে মহারাষ্ট্র তার রেশ পরে।
মোদী এদিন দেশবাসীকে 'পরিবার জন' বলে সম্বোধন করেছেন। সত্যাগ্রহ আন্দোলনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মহাত্মা গান্ধীকে। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভগৎ সিং রাজগুরু সুখদেবের স্মৃতিতে।
দিল্লি লাগোয়া গুরগাঁও এবং হরিয়ানার নুহু জেলায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। হরিয়ানার বিজেপি সরকার বাংলাদেশী বলে গরিব মানুষের ঝুপড়ি ভেঙে দিয়েছে। সোমবারও মুসলিমদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে সভা করেছে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি ঘনিষ্ঠ উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
'পরিবার জনের' সংজ্ঞায় প্রধানমন্ত্রী দেশের সব নাগরিককে আদৌ বিবেচনা করছেন কিনা উঠেছে সেই প্রশ্ন।
এদিন কংগ্রেস দপ্তরে পতাকা উত্তোলনে ক্ষোভ জানিয়েছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেছেন মোদীর সময়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে সংবিধান ধ্বংস করা হচ্ছে বিরোধী বা প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে এমন কি সংসদেও প্রধানমন্ত্রী বা সরকার সরকার বিরোধিতা করলে সাসপেন্ড করা হচ্ছে বিরোধী সদস্যদের।
এদিন লালকেল্লায় সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হলেও প্রতিবাদে যোগ দেননি খাড়গে।
Comments :0