তিনি দাবি করেন লণ্ডনে রাহুল যেই মন্তব্য করছেন তার জন্য তাঁকে সংসদে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁর কথায় রাহুল গান্ধী সংসদে বিতর্কে অংশগ্রহনের হার অত্যন্ত কম।
সম্প্রতি লণ্ডনে একটি সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস সাংসাদ মন্তব্য করেন যে সংসদে বিরোধী দলের মাইক বন্ধ রাখা হয় যাতে তারা কোন কথা না বলতে পারে। তিনি ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন যে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গণমাধ্যম, বিচার ব্যবস্থা, সংসদ এবং নির্বাচন কমিশনের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করেছে। তার কথায় ইউরোপ এবং আমেরিকার ভারতের সাথে ব্যাবসায়িক স্বার্থ থাকলেও ভারতে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য যথেষ্ঠ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
রাহুল গান্ধী এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সম্বিত পাত্র দাবি করেছেন দেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ে বৈদেশিক শক্তির হস্তক্ষেপের কথা বলে রাহুল দেশের মর্যাদা নষ্ট করেছেন।
লণ্ডনে রাহুল গান্ধী যা বলেছেন তার জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। এই দাবিতে সংসদের অধিবেশন ভণ্ডুল করছে বিজেপি। একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হই হট্ট গোল করে ভেস্তে দিচ্ছে অধিবেশন।
সংসদ সূত্রে খবর রাহুল গান্ধী অধ্যক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে তিনি বিদেশে যে বক্তব্য রেখেছেন তা নিয়ে সংসদে তাঁর বক্তব্য রাখার জন্য সময় দেওয়ার আবেদন করেন। সংসদের সাধারন নিয়মেই এক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। সংসদ আলোচনার ক্ষেত্র বলে এক্ষেত্রে বিশেষ কোন বিধি নিষেধ বলে কিছু নেই। তবু সংসদের বিদেশ মন্ত্রকের পরামর্শ দাতা কমিটির বৈঠকে রাহুল তাঁর বিদেশে ভাষণ নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন। বিদেশে দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার কথা তিনি কেন বলেছেন তা ব্যাখ্যা করেন। সংসদে একই ভাবে তা বলার জন্য তিনি চিঠি দিয়ে সময় চান। যদিও সংসদের বাইরে বক্তব্য রাখা নিয়ে সংসদে সাংসদদের কোনও কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবু এদিন রাহুল বক্তব্য রাখতে চেয়ে চিঠি দেওয়ায় তাকে সময় টুকু সংসদে দেওয়া যাবে না বোঝাতে ফের সুর চড়ায় শাসক। মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী তাই শুরুতেই বললেন, বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর সংসদে কোনও বক্তব্য নয়। তাকে আগে তার বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তার পরে সভা চলবে। এতে প্রতিবাদে সরব হন বিরোধীরা।
Comments :0