Women Rservation

ডিলিমিটেশন কবে? মহিলা সংরক্ষণে কেন্দ্রের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

জাতীয়

লোকসভা ও বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ আসনে মহিলা সংরক্ষণ আইন কার্যকর করার জন্য মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস সাংসদ জয়া ঠাকুর সুপ্রিম কোর্ট জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেলেন। তার ভিত্তিতে এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট।
ডিলিমিটেশন বা আসন পুনর্বিন্যাসের জন্য অপেক্ষা না করে এই আইন কার্যকর করা সম্ভব কিনা বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন ও বিচারপতি আর. মাধবনের বেঞ্চ তা জানাতে বলল কেন্দ্রকে। 
মহিলাদের ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের দাবি কয়েক দশকের পুরনো। বামপন্থী সাংসদরা দীর্ঘ সময় ধরে এই দাবিতে লড়াই করেছেন। এর আগে রাজ্যসভায় এই মর্মে আইন পাশ হলেও লোকসভায় হয়নি। ২০২৩-এ কেন্দ্রের বিজেপি জোট সরকার আইনটি পাশ করে সংসদের দুই কক্ষেই। ২০২৪’র নির্বাচনে প্রচারও করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু জুড়ে দেওয়া হয় জনগণনা এবং তার ভিত্তিতে ডিলিমিটেশনের শর্ত। এদিকে ২০২১-এ জনগণনা পিছিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। বহু টালবাহানার পর প্রক্রিয়া শুরু হলেও ২০২৯’র নির্বাচনেও এই আইন কার্যকর হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। 
সোমবার শুনানি চলাকালীন বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানায়, "সংবিধান সব নাগরিকদের রাজনৈতিক ও সামাজিক সমতার কথা বলে। দেশে মহিলারা জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ হওয়ার পরেও তাঁদের রাজনৈতিক সমানাধিকারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়।’’
বর্ষীয়ান আইনজীবী শোভা গুপ্ত এদিন জয়া ঠাকুরের হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন। শুরুতেই তিনি বলেন, এটা লজ্জাজনক যে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও মহিলাদের আইনসভায় সঙ্গত হারে প্রতিনিধিত্বের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। 
উল্লেখ্য, লোকসভায় এখন মহিলা সাংসদ ১৪.৭ শতাংশ। দেশের সব বিধানসভা হিসেবে আনলে ১০ শতাংশ ছাড়ায়নি অনুপাত।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতিদের বেঞ্চ জানতে চায়, সরকার কবে থেকে ডিলিমিটেশনের প্রক্রিয়া শুরু করছে? আইন কার্যকর করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে নির্দেশিকা পাঠিয়েছি, তবে এখনই কোনো বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর বিল পাশের পর রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আইন হয়।

Comments :0

Login to leave a comment