তাঁর ‘সাহেব’ নিজাম প্যালেসে সিবিআই’র সাড়ে নয় ঘণ্টার জেরার মুখে পড়েছিলেন। সেই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডেই মঙ্গলবার ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। তবে সিবিআই নয়, কালীঘাটের কাকুকে মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা ১১ঘন্টা ইডি’র জেরার পর গ্রেপ্তার হলেন কালীঘাটের কাকু। সকাল এগারোটা থেকে রাত সাড়ে দশটা- এগারো ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে,দফায় দফায় জেরার এই গ্রেপ্তার।
এর আগে নিজাম প্যালেসে সিবিআই জেরার মুখে পড়লেও, ইডি’র জেরায় এই প্রথম। মানি লন্ডারিংয়ের তদন্তেই দফায় দফায় চলছে এই জেরা।
যদিও এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রীতিমতো মেজাজ নিয়েই সুজয় ভদ্র বলেছিলেন, আমি বেরিয়ে আসব তখন কথা বলব। ইডির জেরা নিয়ে কি ভয় পাচ্ছেন ? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কালীঘাটের কাকু বলেন, ‘আত্মবিশ্বাসী কি না বেরোনোর সময় দেখবেন।’
তবে রাত সাড়ে দশটার পরেও ইডি দপ্তর থেকে বেরোতে পারেননি কালীঘাটের কাকু। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গেছে সাড়ে দশ ঘণ্টা জেরাতেও সন্তুষ্ট নন তদন্তকারী আধিকারিক। তদন্তে অধিকাংশ প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কালীঘাটের কাকু। এমনকি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রশ্নে একেকবার একেকরম উত্তর দিচ্ছেন। তিন-তিনটি সংস্থায় তাঁর পরোক্ষ, প্রত্যক্ষ যোগ মিলেছে। তার মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা পার্কিং হয়েছে বলেই মনে করছে ইডি। আর এই তিনটি সংস্থা নিয়ে দফায় দফায় জেরাতেই সবথেকে অস্বস্তিতে পড়েন অভিষেক ব্যানার্জির ঘরের লোক এই কালীঘাটের কাকু।
রাত এগারোটার কিছু পরে ইডি গ্রেপ্তার করে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। বুধবার সকালে আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
Comments :0