নারী-নিগ্রহের ভয়ঙ্কর ভিডিও ভাইরাল হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে। নগ্ন অবস্থায় দু'জন মহিলাকে জোর করে রাস্তা দিয়ে রীতিমতো ছোটাচ্ছে একদল যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। এক আদিবাসী সংগঠনের দাবি, ওই দুই মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাঁদের দু'জনকে একটি মাঠের মধ্যে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিরোধী দল এবং নাগরিক সমাজ সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ৭৬ দিন আগের পুরানো ভিডিও যা বুধবার, ১৯ জুলাই ভাইরাল হওয়ার পরে মৌনতা ভাঙেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী। হিংসা বিদ্য়স্ত মণিপুর নিয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন দুজনে। কার্যত, মণিপুরে হিংসা কেন্দ্রেরই মদতপুষ্ট বলে অভিযোগ উঠেছে।
মণিপুরের ঘটনা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম্কোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে প্যারেড করার ভিডিও দেখে আদাল "তীব্র বিরক্ত" হয়েছে।
ঘটনাটিকে "শুধু অগ্রহণযোগ্য" বলে অভিহিত করে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা সুপ্রিম কোর্টকে অবহিত করার নির্দেশ দেয়।
"আমরা সরকারকে কাজ করার জন্য একটু সময় দেব, অন্যথায় সেখানে কিছু পদক্ষেপ না নিলে আমরা ব্যবস্থা নেব," বলেছেন বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চও। "নারীদেরকে একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা মনে করি যে আদালতকে অবশ্যই সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে অবহিত করা উচিত যাতে অপরাধীদের এই ধরনের হিংসা সংঘটিত জন্য মামলা করা হয়। মিডিয়া এবং ভিজ্যুয়ালগুলিতে যা তুলে ধরা হয়েছে তা ব্যাপক সাংবিধানিক লঙ্ঘন ছাড়া কিছুই নয়," বলেছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
অন্যদিকে মৌনতা ভেঙে প্রতিক্রিয়া দিলেও প্রধানমন্ত্রী কৌশলে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির দিকে ইঙ্গিত করে কটাক্ষ করে আইন-শৃঙ্খলা বাড়ানো এবং মহিলাদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলির কথাও উল্লেখ করেছেন। জনগণকে রাজনৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে আইন-শৃঙ্খলা এবং নারীদের সম্মানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, তিনি যোগ করেন। তাঁর কথায় বিজেপি শাসিত মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলার বদলে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির প্রতি সমালোচনা উঠে আসে।
Comments :0