হিন্দমোটরের বিবি স্ট্রিট ঘাটে তর্পণ করতে গিয়ে গঙ্গার বানে ভেসে গেলেন কয়েকজন। তার মধ্যে নিখোঁজ রয়েছেন ৪ জন। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি। নামানো হয়েছে বোট, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে হুগলি জেলার গঙ্গার ঘাটগুলিতে তর্পণের ভিড় দেখা যায়। উত্তরপাড়া হিন্দমোটর অঞ্চলেও প্রতিটি ঘাটে ছিলেন বহু মানুষ। পুলিশ জানিয়েছে সৌম্য মজুমদার, স্বপন ভট্টাচার্য, গৌরাঙ্গ মণ্ডল এবং শৌভিক কুমার দত্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। চলছে তল্লাশি।
শনিবার মহালয়ার দিন আগরপাড়ায় এক প্রবীণও ভেসে গিয়েছেন। তিনিও স্নানে নেমেছিলেন। (আরও পড়ুন)
হিন্দমোটর বিবি স্ট্রিট ঘাটে তর্পণের স্নান করতে নেমে গঙ্গার বানে তলিয়ে যান পাঁচ জন। খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ হাজির হয়। চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অরবিন্দ আনন্দ, এসিপি আলি রাজা ও উত্তরপাড়ার আইসি পার্থ সিকদার ঘাটে উপস্থিত হন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বান আসার সময় জানা থাকলেও পুলিশ সতর্ক করেনি। বান যখন কাছে এসে যায় তখন বাঁশি বাজানো হয়। ফলে জলে স্নান করতে নামা লোকজন ভেসে যান।
স্বপন বাহাদুর নামে হিন্দমোটরের এক বাসিন্দা তর্পণে নেমে ভেসে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, হঠাৎ বান এসে যায়। জলের ঘূর্ণিতে পরে যাই। কোনো ভাবে প্রাণে বেঁচেছি।
বাপি দাস জানান আজকের ঘটনার জন্য পুলিশ প্রশাসন দায়ী। তাঁদের কাছে বানের খবর ছিলো, কিন্তু তারা পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল। যখন দেখেছে জল কাছে চলে এসেছে তখন বাঁশি বাজিয়ে সর্তক করছে। দেখে মনে হচ্ছে যেন ফুটবল খেলা চলছে এখানে।
স্থানীয় সিপিআই(এম) নেতা রজত ব্যানার্জির অভিযোগ, প্রশাসন সব জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আগে থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়নি। নিখোঁজ হওয়ার পরও তাদের তল্লাশিতে অনেক দেরি করা হচ্ছে। পৌরসভার উচিত যত দ্রুত সম্ভব বোর্ড নামিয়ে তাদের উদ্ধার করতে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, দু’জন নিখোঁজ আছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়েছে। তল্লাশি চলছে। অন্যান্য ঘাটগুলিকে সতর্ক করা হচ্ছে মানুষকে।
Comments :0