উৎপল মজুমদার (মালদহ) ও অনিল কুন্ডু (বারুইপুর)
মালদহে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির জনসংযোগ কর্মসূচি ঘিরেও হলো বিক্ষোভ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও বৃহস্পতিবার যোগ দিলেন ভাইপো অভিষেকের কর্মসূচিতে। আর এদিনই তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে মালদহেরই মানিকচক ব্লকের প্রায় পঞ্চাশজন তুলে নিলেন লাল ঝণ্ডা।
অভিষেক ব্যানার্জির রাজকীয় সফরে মালদহেও পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই নিয়ে হট্টগোল অব্যাহত থেকেছে। ইংরেজবাজারে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জনসংযোগ যাত্রা’ আটকে বিক্ষোভ হয়েছে।
রতুয়া ২ ব্লকে প্রায় ২০০ শ্রমজীবী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে লাল ঝান্ডা হাতে তুলে নিলেন।
এদিনই অভিষেকের মিছিল মানিকচক ব্লক পার করে চলে যাওয়ার পরই সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে লাল ঝান্ডা তুলে নেন ওই পঞ্চাশজন। সিপিআই(এম) নেতা দেবজ্যোতি সিনহা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ছিলেন। রতুয়া ২ ব্লকের, সম্বলপুর অঞ্চলের বালুঘাট গ্রামেরও প্রায় ২০০ শ্রমজীবী পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে। লাল ঝান্ডা হাতে তুলে নেন। সে সময়ে ছিলেন পার্টির মালদহ জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র সহ নেতৃবৃন্দ।
বারুইপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে সুজন চক্রবর্তী।
এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মালদায় ভাইপো প্রমোদ বিহারে গেছেন। কোটি কোটি টাকা খরচ। তাঁর বায়ে ডাইনে পুলিশ। দুই হাজার রাজ্য পুলিশ। ৬ দফা বাউন্সার ঘিরে রেখেছে। সেই বাউন্সার এতো থাকা সত্ত্বেও বিক্ষোভ হলো।’’ তিনি বলেন, ‘‘হাল খারাপ বুঝেছেন বলেই মুখ্যমন্ত্রী মালদহে গিয়েছেন।’’
এদিন বারুইপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘মালদায় আজকের বিক্ষোভ গোটা রাজ্যের চেহারা বুঝিয়ে দিচ্ছে। আগে তৃণমূল থেকে ভেঙে লোক যেত বিজেপিতে। বিজেপি থেকেও লোক ভেঙে যেত তৃণমূলে। এখন মানুষ বরং লাল ঝান্ডাতেই ফিরছেন। তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর মাথাব্যথা।’’
Comments :0