সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ ঘন্টারও বেশি সময়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা।
আল-জাজিরা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ৯৫০’র বেশি মানুষ। এরমধ্যে হামাসের আক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৬০০’র বেশি। ইজরায়েলের তরফেও গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলায় মৃতের সংখ্যা ৩৫০’র আশেপাশে।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিপিআই(এম)। রবিবার সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামাস এবং ইজরায়েল সেনার আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনার গতি-প্রকৃতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, সংঘর্ষ অবিলম্বে থামানো না গেলে আরও বহু মানুষ প্রাণ হারাবেন।
সংঘর্ষের জন্য ইজরায়েলের চরম দক্ষিণপন্থী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের সমালোচনা করে পলিটব্যুরো বলেছে, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক সহ প্যালেস্তাইন জুড়ে বেআইনি দখলদারি চালানো হচ্ছে। শনিবারের সংঘর্ষ শুরুর আগে, চলতি বছরে ৪০জন শিশু সহ ২৪৮জন প্যালেস্তিনীয়কে হত্যা করেছে ইজরায়েলের দখলদার বাহিনী। পলিটব্যুরো দাবি জানিয়েছে, প্যালেস্তিনীয়দের জন্মভূমিতে থাকার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রসংঘকে। প্যালস্তাইন জুড়ে থাকা অবৈধ ইজরায়েলি দখলদারদের হঠাতে হবে। এবং রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত দ্বি-রাষ্ট্র ফর্মুলায় ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্যালেস্তাইনের রাজধানী হবে ঐতিহাসিক পূর্ব জেরুজালেম শহর।
আন্তর্জাতিক মহল সহ ভারত সরকারকে পলিটব্যুরো আহ্বাণ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতী কার্যকর করা এবং রাষ্ট্রসংঘের ফর্মুলার বাস্তবায়ন করা।
শনিবার সকালে গাজা’কে ঘিরে থাকা ইজরায়েল সেনার নজরদারি টাওয়ার, কাঁটাতার এবং কংক্রিটের পাঁচিল ভেঙে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে কয়েক হাজার প্রশিক্ষিত হামাস যোদ্ধা। তাঁরা ইজরায়েলের ৩৫ কিলোমিটার অবধি চলে আসে। ইজরায়েলের দখলে থাকা স’ডেরট, নেটিভোল, কেরেম শালোম’র মত ছোট এবং বড় শহরের উপকন্ঠে হামাসের যোদ্ধাদের প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে। ইজরায়েলের অভিযোগ, হামাস যোদ্ধারা নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। পালটা হামাস এই গোটা অপারেশনের নাম দিয়েছে ‘আল-আকসা ফ্লাড’।
Comments :0