এদিন বনগাঁ শক্তিগড় হাইস্কুলের বিভূতিভূষণ মঞ্চে ডাঃ সুশান্ত সরকারের স্মরণসভা হয়। ২ মে প্রয়াত হন ডাঃ সুশান্ত সরকার।
স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, এখন পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়ার জন্য মারামারি হয়। বোমাবাজি হয়। অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মমতা ব্যানার্জির রাজত্বে সাধারণ মানুষকে এইসব দেখতে হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কালীঘাটের কাকু’র তিনটি কোম্পানি, ২০টি সম্পত্তি কোথা থেকে হল, রাজ্যের মানুষ তা জানতে চাইবে না?
তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে পার্টির সদস্য হতে হয় না। দরকার সাধারণ গরিব মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। যা পুরো মাত্রায় ছিল ডাঃ সুশান্ত সরকারের। সেজন্য তিনি গরিবের ডাক্তার হিসাবে বনগাঁ মহকুমায় পরিচিত হয়েছিলেন। কেবল রোগী হিসাবে নয়, সাধারণ মানুষের সঙ্গে গড়ে উঠেছিল নিবিড় সম্পর্ক। মনেপ্রাণে ছিলেন বামপন্থী। পার্টির আপনজন। মানুষের কথা ভেবেই সীমান্ত শহরকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সেইমতো কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল জেতার পরে সব পন্ড হয়ে গিয়েছে।
চক্রবর্তী বলেন, অর্থ এবং ক্ষমতার দাপট সমাজকে কলুষিত করছে। ইতিহাসের বিকৃত চর্চা হচ্ছে। সরকারি কর্মীরা টিফিনের সময় কে কি করবেন তা ঠিক করে দেবে সরকার। এটা চলতে পারে না।
কেন্দ্রের সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, আকাশ ছোঁয়া সম্পত্তি করলেও করদাতার তালিকার প্রথম দশে নাম নেই গৌতম আদানির। এর থেকে স্পষ্ট, সাধারণ মানুষের সর্বনাশ করছে ‘দিল্লিওয়ালা’রা। দুই ফুলের সরকারের কাজে সাধারণ মানুষ বিপন্ন।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, এখন জেরা-জেরা খেলা চলছে। কেউ কাউকে চেনেন না। কিন্তু এই পথে শাসক দলের অভিযুক্ত নেতারা নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। চুরি করতে না পারলে তৃণমূল নেতা হওয়া যায় না। দলের নেতার ক্ষোভ কমাতে মুখ্যমন্ত্রীকে রোগী ভর্তি করতে হচ্ছে। চিকিৎসক, নার্স, রোগীর চিকিৎসা সব গৌণ ব্যাপার। আর চিকিৎসা না পেয়ে সাধারণ মানুষকে গাছের তলায় কাটাতে হয়।
এদিনের স্মরণ সভায় শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন সিপিআই(এম) বনগাঁ শহর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুমিত কর। এছাড়া স্মৃতিচারণ করেন প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা দুলাল মণ্ডল, প্রবীণ শিক্ষক দেবকুমার মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক হরেকৃষ্ণ মণ্ডল, শিবু বসু, অমল সাধু প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন জেলার প্রবীণ নেতা পঙ্কজ ঘোষ।
Comments :0