ইডি সূত্রে খবর, এনামুল হক এবং আবদুল লতিফের থেকে গরু পাচারের প্রটেকশন মানি সংগ্রহ করতেন অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সেই টাকা জমা পড়ত অনুব্রত মন্ডল এবং তাঁর মেয়ের নামে বেনামে থাকা অ্যাকাউন্টে। ইডি জানিয়েছে, এনামুল এবং লতিফের থেকে ১৮ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহ করেন অনুব্রত। তারমধ্যে ১১ কোটি টাকায় পরিবারের নামে বিপুল সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত।
বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে বন্দী রয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। পশ্চিম বাংলায় জেলবন্দী থাকাকালীন অনুব্রত’র বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্বে আক্রমণ করে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন শক্তিগড়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা সহ ৩জন। একইসঙ্গে অনুব্রত’র ইডি হেফাজত আটকাতে রাজ্য পুলিশ দুবরাজপুরের একটি ২ বছর পুরনো মামলায় তাঁকে হেফাজতে নেয়। এই সবটা থেকে প্রভাবশালী যোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে।
এর পাশাপাশি অনুব্রত’র বিরুদ্ধে তাঁর কন্যা সুকন্যার করা মন্তব্যকেও হাতিয়ার করেছে ইডি। তদন্তকারীদের কাছে সুকন্যা জানান, ‘‘আমি কিছু জানি না। সব বাবা জানে।’’
সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আদালতে ইডি জানিয়েছে, গোটা দুর্নীতির মূল মাথা অনুব্রত।
Comments :0