Mahua Maitra

আগামী সপ্তাহে নিশিকান্তের কথা শুনবে এথিক্স কমিটি

জাতীয়

শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দিনীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লোকসভায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এমনটা অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন দুবে। এই বিষয় তদন্তের জন্য এথিক্স কমিটিকে ষিঠি পাঠিয়েছেন বিড়লা। গঠনও করা হয়েছে। আগামী ২৬ অক্টোবর দুবে এবং আইনজীবী জয় আনন্দ দেহারাইকে ডাকা হয়েছে এথিক্স কমিটির পক্ষ থেকে। 
অধ্যক্ষকে লেখা চিঠিতে বিজেপি সাংসদ উল্লেখ করেছেন যে, তিনি দেহরায়ের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছিলেন, যেখানে সংসদে প্রশ্ন করার জন্য মহুয়া মৈত্র এবং শিল্পপতি দর্শনের মধ্যে অর্থীক লেনদেনের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

মৈত্র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি যে কোনো তদন্তের জন্য প্রস্তুত।
অভিযুক্ত শিল্পপতি হীরানন্দানির সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ‘‘আমরা সব সময় ব্যবসার জন্য কাজ করেছি, রাজনীতির জন্য ব্যবসা করিনি। দেশের স্বার্থে সরকারের সাথে বিভিন্ন সময় এই সংস্থা কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও তা করবে।’’
হীরানন্দানি গ্রুপ আদানি গ্রুপের কাছে শক্তি এবং অবকাঠামো টেন্ডারে হেরেছে। দুবের অভিযোগ লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ যেই প্রশ্ন করেছে তাতে হিরানন্দানি গ্রুপের স্বার্থেই ছিল।

আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করে যে কিছু গোষ্ঠী এবং ব্যক্তি তাদের ক্ষতি করার জন্য ওভারটাইম কাজ করছে।

বিবৃতিতে আদানিদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘এই বিশেষ ক্ষেত্রে, আইনজীবীর অভিযোগ থেকে জানা যায় যে আদানি গ্রুপ এবং আমাদের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির খ্যাতি এবং স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করার জন্য এই ব্যবস্থাটি ২০১৮ সাল থেকে চালু রয়েছে।’’
উল্লেখ্য আদানি শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা সংসদ। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে দফায় দফায় মুলতুবি হয়েছে লোকসভা এবং রাজ্যসভা। চাপে পড়েছিল কেন্দ্রে বিজেপি সরকার। 
অন্যদিকে এই প্রথম নয়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে নারদা কাণ্ডের সময়ও লালকৃষ্ণ আডবানীর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল এথিক্স কমিটি। তৃণমূলের একাধিক সাংসদকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল পর্দায়। ২০১৬ সালের সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি এথিক্স কমিটির কোন বৈঠক হয়নি। রিপোর্ট তো দূরের কথা।

Comments :0

Login to leave a comment