যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় তদন্ত ভার হাতে নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এই মামলায় ধৃত ১৩ জনের বিরুদ্ধে পক্সো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে লাল বাজারের পক্ষ থেকে।
গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলে মৃত্যু হয়েছে প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। র্যা গিংয়ের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বাংলা। যাদবপুরের ক্যাম্পাসের ভেতরেও বড় অংশ সোচ্চার। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৩জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকারিক, ছাত্রদের বয়ান নেওয়া হয়।
তথাকথিত ‘স্বাধীন’ এবং সংগঠিত বাম আন্দোলনের বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলিকে হস্টেলে কর্তৃত্ব ফলানো এবং র্যা গিংয়ের জন্য দায়ী করেছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিভিন্ন অংশ। তৃণমূল নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে ঘটনা ঘিরে বামপন্থীদের আক্রমণ শুরু করেন। তবে তাঁর পুলিশের তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে বক্তব্যের প্রমাণ মেলেনি।
ছাত্র মৃত্যুর এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি নিজেদের রিপোর্ট ইতিমধ্যে উপাচার্যের কাছে জমা দিয়েছে।
উপাচার্যের কাছে যেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে তাতে র্যা গিংয়ে অভিযুক্ত চার বর্তমান ছাত্রকে আজীবন বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। এর পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রাক্তন ছাত্রদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যেমন তদন্ত করা হয়েছে তেমন ইউজিসির পক্ষ থেকেও একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং আধিকারিক ও অধ্যাপকদের সাথে কথাও বলেন।
Comments :0