১০০ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েও চলছে জম্মু-কাশ্মীরের এনকাউন্টার। টানা পাঁচ দিন ধরে সেনা বাহিনী এবং পুলিশের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে উগ্রপন্থীদের। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ২ সেনা অফিসার এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক ডিএসপি।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের কোকরনাগ অঞ্চলের গারোল গ্রাম সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল ৩-৪ জন সন্দেহভাজন উগ্রপন্থী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। আতর্কিতে তাঁদের উপর হামলা চালায় উগ্রপন্থীরা। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্ণেল মনপ্রীত সিং , মেজর আশিষ ধোনচাক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ূন ভাট। এছাড়াও ২ সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন। একজন নিঁখোজ রয়েছেন বলে খবর।
ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের কমান্ডার চিফ লেফটেন্যান্ট উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানিয়েছেন, উগ্রপন্থীরা ঘন জঙ্গলে গুহার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে। তাঁরা জঙ্গলে যুদ্ধ করার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। প্রাকৃতিক ঘেরাটোপের আশ্রয়ে থাকার ফলে তাঁদের বাগে আনতে সময় লাগছে। তিনি ইতিমধ্যেই এনকাউন্টার স্থল পরিদর্শন করেছেন।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের একটা অংশ জানাচ্ছেন, ৩৭০ ধারা বিলোপের ফলে উপত্যকায় উগ্রপন্থা আরও বিস্তার লাভ করেছে। এতদিন মূলত ঘন বসতিপূর্ণ অঞ্চলে অপারেশন চালাত উগ্রপন্থীরা। কিন্তু বর্তমানে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি সেক্টরের জঙ্গলেও ঢুকে পড়েছে তাঁরা। এই অঞ্চলের জঙ্গল অত্যন্ত গভীর হওয়ায় এখানে অভিযান চালানো কঠিন।
সেনা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা ঘিরে নিয়েছে হাজারের কাছে নিরাপত্তাকর্মী। ভারতীয় সেনার বিশেষ প্যারা-কমান্ডো বাহিনীও অভিযানে অংশ নিয়েছে। ড্রোন এবং মর্টারের সাহায্যে উগ্রপন্থীদের ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা।
ইতিমধ্যেই ৩ নিহত নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে সিপিআই(এম)। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স( পূর্বতন টুইটার)—এ সিপিআই(এম) মৃত ৩ অফিসারের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
Comments :0