বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল দাবি করেছেন যে এক বছরের মধ্যে শিশির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালিন তার সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে শিশির অধিকারীর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লক্ষ টাকা। ২০১১ সালে তা হয় প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। ২০১২ সালে যখন তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তখন সম্পত্তির পরিমান ১০ কোটি টাকা। কুণালের দাবি তৃণমূল পরিচালতি কাঁথি পৌরসভায় সারদার টাকা ধুকেছে শিশিরের ব্যাঙ্কে। তবে কুণাল ঘোষ যখন নিজে সারদা কান্ডে জেলে ছিলেন তখন বার বার তাকে বলতে শোনা গিয়েছে ‘সারদার সব থেকে বড় বেনিফিসিয়ারি মমতা ব্যানার্জি’। এই কথা বলার জন্য পুলিশের মার, ধাক্কা খেয়েছিলেন বর্তমানে তৃণমূলের মুখপাত্র।
উল্লেখ্য শিশির অধিকারিকে বিজেপির মঞ্চে দেখা গেলেও তিনি এখনও তৃণমূলের সাংসদ। সাংসদ এবং বিধায়কদের এই দলবদলের প্রসঙ্গ টেনে মহম্মদ সেলিম পূর্বে বলেছিলেন, ‘‘সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় যখন লোকসভার অধ্যক্ষ তখন বিএসপির এক সাংসদকে অন্য দলের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। অধ্যক্ষ তার সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন। এখন প্রকাশ্যে সাংসদ বিধায়করা তৃণমূল থেকে বিজেপি এবং বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’’
বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ দাবি করেন ২০১১-১২ সালে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের থেকে তৃণমূল পরিচালিত কাঁথি পৌরসভা টাকা নেয়। সেই কথা নাকি সুদীপ্ত সেন নিজে জানিয়েছেন। ২০১৩ সালে সারদা তদন্ত যখন রাজ্যের তদন্তকারিরা করছিলেন তখন তাহলে কেন শিশির অধিকারি এবং তার ছেলেদের জেরা করা হলো না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
Comments :0