Modi Trump

সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের সাথে বৈঠক হতে পারে মোদি

আন্তর্জাতিক

ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুক্ল সংঘাতের মধ্যেই আগামী মাসে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর আগামী মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর সেখানে গিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে তিনি যোগ দেবেন। সেই সফরের মাঝেই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে পারেন মোদি। 
সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে নিউ ইয়র্কের রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশন শুরু হবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা সেখানে যোগদান করবেন। জানা যাচ্ছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ছাড়াও একাধিক দেশের শীর্ষ নেতার সাথে বৈঠক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সেপ্টেম্বর যদি ট্রাম্পের সাথে মোদির সাক্ষাৎ হয় তবে গত সাত মাসে তা হবে দ্বিতীয় বার। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে দুই দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠক হয়।
সম্প্রতি ভারত পাকিস্তানে সামরিক সংঘাতে মার্কিন হস্তক্ষেপকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেন তার মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত বন্ধ হয়েছে। ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করার আগে ট্রাম্প তা ঘোষণা করে দেন। এই নিয়ে সংসদের বিরোধীরা সরব হলেও সরকার জোড় গলায় বলতে পারেনি যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি এই যুদ্ধ বিরতিতে সরাসরি কোন হস্তক্ষেপ করেননি। তারা শুধু দাবি করে এসেছে সংঘাতের সময় ট্রাম্প মোদির কো কথা হয়নি। কিন্তু মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও দাবি করেছে যে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থেমেছে সংঘাত।
উল্লেখ্য ভারতের  ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চাপানো নিয়ে কড়া সামলোচনার সাহস দেখায়নি ভারত সরকার। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক মার্কিন পদক্ষেপকে "অযৌক্তিক, অন্যায্য এবং ভিত্তিহীন" বলে চিহ্নিত করেছে। তারা জানিয়েছে, নিজেদের দেশের মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে। ভারতের মতো অন্য অনেক দেশ, যার মধ্যে চীনও রয়েছে, এই ধরনের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শুধু ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা "অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক" বলে মন্তব্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য চীনের ওপর শুল্ক চাপিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই চাপের কাছে চীন মাথা নত না করে পাল্টা শুল্ক চাপায় মার্কিন পণ্যের ওপর। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পিছু হটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 
ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর মোট শুল্কের বোঝা ৫০ শতাংশে উন্নীত করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান। ইউএস-ভিত্তিক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের এই পরিচালক এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ভারত যেহেতু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব ট্রাম্পকে দিতে রাজি হয়নি, তাই তিনি ভারতকে শাস্তি দিতেই এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন।

Comments :0

Login to leave a comment