জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অভিযানে পুলিশের লাঠির আঘাতে রক্ত ঝরলো এসএফআই কর্মীর। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরে। ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবার সরকারি প্রচেষ্টার বিরূদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভবন অভিযান কর্মসূচি পালন করাকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত হয় এই কর্মসূচিতে।
সরকারি নির্দেশে ছাত্র-শিক্ষকের অভাবে ধুঁকতে থাকা জেলার ২১৮টি প্রাথমিক ও উচ-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের সরকারি নির্দেশিকার বিরোধিতা করে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ২৬শে এপ্রিল বুধবার ডিপিএসসি দপ্তর অভিযান সংগঠিত হয়।
এদিন শহরের সমাজপাড়া মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে বেগুনটারী, কদমতলা হয়ে ডিপিএসসি দপ্তরের সামনে পৌছালে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ এবং ব্যারিকেডকে প্রতিহত করেই ছাত্ররা ডিপিএসসির ভেতরে পৌছে যায়। তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। ডিপিএস এর গেটে ছাত্ররা পৌঁছলে সেখানে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ছাত্র ফেডারেশনের সদস্যদের ওপর পুলিশ লাঠি চার্জ করে পুলিশ। ছাত্রদের ডিপিএসসি প্রবেশে বাধা কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকারের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ছাত্রদের দিকে তেড়ে যায়। পুলিশের লাঠির আঘাতে এক আন্দোলনকারীর হাতের আঙুল ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে।
আহত এস এফ আই কর্মীকে দ্রুত আন্দোলন স্থল থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় এস এফ আই নেতৃবৃন্দ। কুড়িজন ছাত্র-ছাত্রী আহত হলেও পিছিয়ে না থেকেই ডিপিএসসি গেটের সামনে অবস্থান এবং সভা শুরু করে ছাত্ররা। সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, এই সরকার শিক্ষাকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আরো বেশি বেসরকারিকরণের চেষ্টাও করছে। এর ফলেই এই স্কুল তুলে দেওয়ার চেষ্টা। আর সাথে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিহাস বদল করে দিয়েই ছাত্র সমাজকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় নেমেছে। বামপন্থী আন্দোলনকে রোখা যাবে না।
Comments :0