এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ যাদবপুর থানার সামনে জমায়েত হন এসএফআই কর্মী সমর্থকরা। সাড়ে চারটে নাগাদ মিছিল শুরু হয়। মূলত ৩টি স্লোগানকে সামনে রেখে এদিন পথে নামে এসএফআই। সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, স্বপ্নদীপ খুনে জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হস্টেলকে র্যাগিং মুক্ত করতে হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটগুলি ছুঁয়ে ৮বি পৌঁছয় ছাত্রদের মিছিল। কলকাতা জেলার এসএফআই নেতৃত্বের পাশাপাশি সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য এবং রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমানও এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। ৮বি পৌঁছে আধঘন্টার বেশি সময় ধরে পথ অবরোধ করে এসএফআই। ঘটনার পরে ৪দিন কেটে গেলেও, সমস্ত দোষীরা গ্রেপ্তার হল না কেন, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে এসএফআই’র তরফে।
এসএফআই’র অভিযোগ, পুলিশের তরফে একাধিকবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের জেলা সম্পাদক আতিফ নিসার জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ স্বপ্নদীপ খুনের বিচার চায়। যাদবপুর থানার একদম পাশেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হস্টেল। ঘটনার পরে ৫ দিন কেটে গেলেও পুলিশ সেখানে ঢুকতে সাহস পাচ্ছেনা। খুনিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এদিকে এসএফআই’কে এসে গ্রেপ্তারের হুমকি দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
অবরোধের পরে যাদবপুর ৮বি মোড়ে বিক্ষোভ সভা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতীক উর রহমান, সংগঠনের কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাঞ্জন দে, জেলা নেতৃত্ব শুভজিৎ সরকার প্রমুখ।
এই প্রসঙ্গে এসএফআই’র রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রশাসনিক গাফিলতির জন্য স্বপ্নদীপের প্রাণ ঝড়ে গিয়েছে। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। সমস্ত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এখনও কেন সমস্ত অপরাধীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য এত বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কেউ দায় এড়াতে চাইলে আমরা মেনে নেব না।
যাদবপুরের পাশাপাশি এদিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ইস্যুতে মিছিল করেছে এসএফআই। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু হয়। পরবর্তীকালে ক্যাম্পাস ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করেন এসএফআই কর্মী সমর্থকরা। স্বপ্নদীপের খুনিদের শাস্তির দাবিতে পথে নামেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও।
Comments :0