বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হতে হবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলকে পরাস্ত করতে হবে। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে বিজেপিকে পরাস্ত করতে হবে। বহুদিন ধরেই আমরা বলছি বিজেপি’র বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট করতে হবে। সেই সূত্র ধরেই বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি হয়েছে।
তৃণমূল সম্পর্কে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপিকেই সমর্থন দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশে থেকেছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সরকার যখন বিল পাশ করাতে চেয়েছে সব দল বিরোধিতা করেছে। তৃণমূল ওয়াক-আউট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন জুগিয়েছে।
গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী জোট হয়েছে। সেই প্রক্ষিতে চক্রবর্তী বলেন, আমরা বলেছি রাজ্যের পরিস্থিতির নিরিখে নির্বাচনী কৌশল রচনা করতে হবে। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে আমরা বলছি বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হতে হবে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলকে পরাস্ত করতে হবে।
সিপিআই(এম) কুলপি এরিয়া কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় সোমবার বক্তব্য রাখেন সুজন চক্রবর্তী। সভা শেষে কুলপিতে মিছিল পরিক্রমা করে। এই মিছিলে তিনি যোগ দেন।
এদিন সুজন চক্রবর্তী কুলপিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাইটার্স বিল্ডিংকে এক বছরের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন নবান্নে। নবান্ন পোশাক শিল্পের প্রসারের জন্য তৈরি হয়েছিল। নবান্ন তৈরির সময় তিনি তার বিরোধীতা করেছিলেন। সেটা দখল করে এখনো বসে আছেন তিনি। আর ১২ বছর পর মনে পড়লো ‘মহেশতলায় পোষাক হাব’ করবেন। পোশাক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তাঁদের জন্য বামফ্রন্ট সরকার যে ব্যবস্থা করেছিল তা মমতা ব্যানার্জি খারিজ করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের নামে ফুরফুরা শরিফে বাহিনী ঢুকিয়ে আক্রমণ করেছে তৃণমূল এবং রাজ্য পুলিশ। কয়েকদিন আগে ওই দরবারে গুলি ছুড়েছে। বোমা মারা হয়েছে। প্রতিবাদ করায় ইব্রাহিম সিদ্দিকীর মাথা ফেটেছে। মুখ্যমন্ত্রী পারলে এই ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।
Comments :0