এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের কাণ্ড ফের সামনে এসেছে। বিভিন্ন মহলই সরব হয়েছে বিচারব্যবস্থার ওপর এমন চাপ তৈরি করার বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে গণনার দিন, ১১ জুলাই, গণনাকেন্দ্রে বিরোধী দলগুলির কাউন্টিং এজেন্টদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবাদের জেরে পুলিশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়। তার মধ্যে একজন রতন মণ্ডল। তিনি মহকুমা আদালতের মুহুরি।
১২ জুলাই ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। আদালত কর্মী বলে রতনের জামিনের আবেদন জানানো হয়। বিচারপতি অসীমানন্দ মণ্ডল জামিনের আবেদন খারিজ করেন। ১৩ তারিখ থেকে আইনজীবীদের ওই অংশ বয়কটে নামে।
তৃণমূলের এই আইনজীবীরা বার অ্যাসোসিয়েশনের নামে বয়কট চালালেও সেই দাবি ঘিরে সন্দেহ রয়েছে। রাজকুমার মান্থার বেলাতেও হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত বলেছিল তৃণমূল। হাইকোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবীদের অনেকেই জানান বার অ্যাসোসিয়েশন এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রসঙ্গই কেবল জড়িত নয় এই বিতর্কে। বিচারপতিদের বিচার করার স্বাধীনতা এমন চাপ তৈরি করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টায় ক্ষুব্ধ বিভিন্ন অংশ। গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলেই এই প্রবণতাকে ব্যাখ্যা করছেন তাঁরা।
Comments :0