কয়েকদিন আগে দলীয় নেতৃত্বের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। চলতি বছর মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ২০১৮ সালে কংগ্রেসে কাছে হারলেও ২০২০ সালে কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠন করে বিজেপি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘জন আশীর্বাদ যাত্রা’ শুরু করেছে বিজেপি। আর তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। তা নিয়ে কয়েকদিন আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সোমবার সংমাধ্যমে ভারতী জানিয়েছেন যে, দলের পক্ষ থেকে তার কাছে যদি আমন্ত্রণ জানানো হয় যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য তবে তিনি তাতে অংশ নেবেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘যাত্রায় যদি আমি যোগদান করি তবে বহু নেতা শঙ্কায় ভুগবেন।’’
রবিবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এই যাত্রার সূচনা করেন। দলের এই কর্মসূচি নিয়ে উমা ভারতী যেমন উষ্মা প্রকাশ করেছেন তেমন শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকারের শাসনে সরকারি হাসপাতাল এবং স্কুলের বেহাল পরিস্থিতি নিয়েও তিনি মুখ খুলেছেন।
মোদী মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য নিজের দলের সরকারের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘আমাদের দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক এবং বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের উচিত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো এবং নিজেদের সন্তানদের সরকারি স্কুলে পড়তে পাঠানো তবেই একমাত্র এই ব্যবস্থার উন্নতি হতে পারে।’’ দলীয় নেতাদের বিলাসবহুল জীবন জাপন নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি।
লোকসভা ভোটের আগে যেই চারটি রাজ্যে নির্বাচন তার মধ্যে অন্যতম মধ্যপ্রদেশ। কমলনাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ভাঙিয়ে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। এই সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিজেপি বার বার দাবি করে এসেছে যে তাদের সরকার মধ্যপ্রদেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে নাড্ডা যখন প্রচার কর্মসূচির উদ্বোধন করছেন তখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দলের এবং সরকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে যে ভাবে সরব হয়েছেন তাতে চাপ বাড়ছে বিজেপির ওপর।
Comments :0