সমাজের একদম প্রান্তিক অংশের মানুষ। খেটে খাওয়া অংশের মানুষ। কাজ ছেড়ে গাছের ছায়ায় বসে ঝান্ডা তৈরি করছে প্রচারের জন্য ওঁরা। ওদের বিশ্বাস পঞ্চায়েতটা লাল ঝাণ্ডার হলে সেটা উন্নয়নের পঞ্চায়েত হবে। সেটা মানুষের পঞ্চায়েত হবে। পঞ্চায়েত হবে মানুষের আশা-ভরসার জায়গা। তাই পুরুলিয়ার নানা প্রান্তে এখন খেটে খাওয়া মানুষরা নেমেছেন বামপন্থীদের সমর্থনে। ওঁরাই দিনবদল করবে। ওদেরই হাতে সুরক্ষিত রক্ত নিশান।
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দফায় দফায় অশান্তি হিংসার সাক্ষী থেকেছে রাজ্যের মানুষ। গায়ের জোরে মনোনয়ন প্রত্যাহার, মারামারি, গুলি, বোমায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে রাজ্যজুড়ে। নির্বিঘ্নে নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্য সরকারের ইশারায় কাজ করছে নির্বাচন কমিশন এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। নির্বাচনের দিন যতোই এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে অভিযোগের বহর। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানালেও রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন কোন ভাবেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটে চায়নি। যদিও সুপ্রিম কোর্টের চাপে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্য এসে পৌছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বাহিনী পঞ্চায়েত ভোটে কোন বুথেই রাখা হবে না বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেতে শুরু করে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের কথায় চলা কমিশনের পরিকল্পনা চ্যালেন্জ জানিয়ে স্বচ্ছ ও জনগণের জনগণের পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের সমর্থনে রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার শুরু হয়েছে। লাল ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে প্রচার দারুণ সাড়ফেলছে। প্রচারের সেই লাল ঝান্ডা তৈরি করছে প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষ।
Comments :0