অভিষেক ব্যানার্জি সহ রাজ্যের মন্ত্রী, তৃণমূলের বিধায়কদের গাড়ি ঘিরে ‘চোর চোর’ স্লোগান তুললেন আন্দোলনকারী কুড়মিরা। গড় শালবনিতে শুক্রবার অভিষেক ব্যানার্জি, মানস ভুঁইঞা, বীরবাহা হাঁসদা, খগেন মাহাতোদের ঘেরাও করেছিলেন কুড়মিরা।
গড় শালবনীতে অভিষেকের কনভয় ঢোকা মাত্র চোর চোর ধ্বনি ওঠে। প্রশাসন কোনো কিছু বোঝার আগেই বহু মহিলা পুরুষ, যুবক ছুটে আসেন কনভয়ের দিকে। অভিষেকের গাড়িটিকে ঘিরে একাধিক পুলিশ প্রশাসনের গাড়ি রাস্তা ঘিরে রেখে নেতার গাড়িকে কোনো ক্রমে এলাকা থেকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে চলে যায়। ফলে রাস্তার উপর তৃণমূল নেতা মন্ত্রী সহ বিধায়ক জনপ্রতিনিধিদের গাড়ি ঘেরাটোপে পড়ে যায়। আর পুলিশ নেতাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় বাকিরা জনরোষের মুখে পড়ে গা ঢাকা দিতে গাড়ি ছেড়ে লুকিয়ে পড়ার হওয়ার চেষ্টা করে।
ইট বৃষ্টিতে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাসহ একাধিক নেতার গাড়ি ভাঙচুর হয়। বিশ্ব বাংলার ‘ব’ লোগো ভেঙে ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এমন ঘটনায় তৃণমূলের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা , বিধায়ক খগেন মাহাতোরা পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন দেখে নেওয়ার কুড়মি সমাজকে।
গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন মাহাতো বলেন, ‘‘আজ ওরা করেছে কাল আমরা ঝাড়গ্রাম জেলায় দেখে নেবো। আজকে ঢিল ছুঁড়েছে। বনমন্ত্রী মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘‘আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নবজোয়ার চলছে। তাদের ক্ষমতা কি করে হয় পাথর ছোঁড়ার।’’
শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলার সীমানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে, হাসাপাতালের অদূরে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। থাকবেন অভিষেক ব্যানার্জিও।
পর্যবেক্ষক বহু অংশই মনে করাচ্ছেন যে জঙ্গলমহল বা উত্তরবঙ্গে পরিচয়সত্ত্বার রাজনীতিকে মদত দিয়েছিল তৃণমূলই। বামফ্রন্টকে রাজ্যের সরকার থেকে হটাতে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ছিল এই রাজনীতি। কিন্তু পরে বিজেপি এই রাজনীতিকেই ব্যবহার এবং অনেকক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তৃণমূলকে পড়তে হচ্ছে বিক্ষোভের মুখে।
Comments :0