অনিন্দিতা দত্ত , শিলিগুড়ি
বেকার যুবকদের টুঁটি টিপে ধরছে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার। ৭ জানুয়ারি রাজ্যের তৃণমূল এবং কেন্দ্রের বিজেপি, দুই শক্তিকেই পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে ব্রিগেড। লুটেরাদের বিরুদ্ধে, কাজ ও শিক্ষার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গবার নভেম্বর বিপ্লববার্ষিকীতে দার্জিলিঙ জেলার শিলিগুড়িতে ‘ইনসাফ যাত্রা’ থেকে এই আওয়াজ তুলল ডিওয়াইএফআই।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বলেছেন, গোটা দুনিয়াতে নভেম্বর বিপ্লবের বিশেষ দিনেই লুটে খাওয়া মানুষের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে খেটে খাওয়া মানুষের বিপ্লবের মাধ্যমেই এমন একটা দেশ ও সমাজব্যবস্থা তৈর হয়েছিল যেখানে খিদে, বেকারি, দুর্নীতি ও দারিদ্র ছিল না। আমাদেরও লক্ষ্য সমাজতন্ত্র।
নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ। হালকা শীতের আমেজ শিলিগুড়ি শহরে। সকালের রোদ গায়ে মেখেই ইনসাফ যাত্রার পদযাত্রীদের স্বাগত জানাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হাজির আমজনতা। পদযাত্রার পঞ্চম দিনে, মঙ্গলবার, পদযাত্রীরা শিলিগুড়ির শহরের কেন্দ্রে প্রবেশ করে যেন আবেগে ভেসে গেলেন। ডিওয়াইএফআই’র প্রাক্তন ও বর্তমান নেতা ও কর্মীদের মেলবন্ধনে ‘ইনসাফ যাত্রা’ ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। দাবি উঠেছে, ১০০ দিনের বকেয়া ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। ১০০দিনের কাজকে ২০০দিনের করতে হবে।
পদযাত্রায় রয়েছেন ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, ‘যুবশক্তি’-র সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত, প্রাক্তন যুবনেতা এবং সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায় চৌধুরী। যুব ফেডরেশনের জেলা সম্পাদক নান্টু কুন্ডু, যুবনেতা শুভ্রদেব ভট্টাচার্য, সাগর শর্মা, বুলেট সিং, রাজু সাহানি, অভিজিৎ চন্দ, মীরা রায় ছাত্র যুবরা পা মিলিয়েছেন এদিন।
সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার ও সিপিআই(এম) দার্জিলিঙ জেলা সম্পাদক সমন পাঠক উৎসাহিত করেন যাত্রাকে।
রাজ্য জুড়ে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের ইনসাফের দাবিতে বারবার সোচ্চার হয়েছেন পদযাত্রীরা। গান, বাজনার তালে এগিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। শিলিগুড়ি শহরের সফদর হাসমি চকে পদযাত্রীদের সম্বর্ধিত করেন প্রাক্তন যুবনেতা এবং প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা অশোক ভট্টাচার্য।
মাল্লাগুড়িতে পদযাত্রীদের খাদা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খুদে শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে। পদযাত্রী মৌমিতা দাস চা বাগিচা শ্রমিক ও বনবস্তি বাসিন্দাদের দুর্দশার প্রতি আলোকপাত করে সভায় বক্তব্য রাখেন। বাগডোগরা বিহার মোড়ে সভায় মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, যাদের আমরা ভোট দিয়ে ক্ষমতা দিয়েছি, যাদের ট্যাক্সের টাকা দেই তারাই আমাদের অধিকার লুট করছে। মানুষের টাকা লুট করে দুর্নীতিবাজরা নিজেদের পকেট ভরছে। কয়লা, গরু, বালি খাদান, শিক্ষা, চাকরি চুরির করেও রাজ্যের তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের পকেট ভরেনি। তাই ১ কোটি ৬৬ লক্ষ রেশন কার্ডের চাল ৩৬ মাস ধরে চুরি করে বাজারে বিক্রি করেছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী কি কিছুই জানতেন না?
ইনসাফ যাত্রা এদিনই উত্তর দিনাজপুর জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়।
Comments :0